রবিবার সাতসকালে উত্তর কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীও। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও সেই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়। তাদের দাবি সমুদ্রের জলে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি। অতি সম্প্রতিই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিজেদের জলসীমায় একনাগাড়ে কামান থেকে তোপ দাগে উত্তর পিয়ংইয়ং। সেই ঘটনায় দুই দেশের জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়াও অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে। তার পরই এবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। (Ballistic Missile)
এর আগে, নভেম্বর মাসে প্রথম বার কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে নজরদারি চালাতে ওই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়। ডিসেম্বর মাসে উত্তর কোরিয়া জানায়, আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল হয়েছে তারা। আমেরিকার মতো পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকতেই এমন উদ্যোগ বলে জানানো হয় সেই সময়।
“North Korea has launched a suspected ballistic missile,” tweets Prime Minister’s Office of Japan pic.twitter.com/HIgmbAi7Kh
— ANI (@ANI) January 14, 2024
আমেরিকা এবং তাদের সহযোগী দেশগুলি এই মুহূর্তে তৎপর। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে, সঙ্গে সঙ্গে সেই সংক্রান্ত তথ্য যাতে পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব হয়, সেই নিয়ে বিশেষ তৎপরতা চোখে পড়ছে তাদের মধ্যে। সেই আবহে উত্তর কোরিয়ার তরফে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়ার এই দুই পড়শি দেশ কিম জং উনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার উপর। তবে সেসবের তোয়াক্কা না করেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। অদূর ভবিষ্যতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় লাগাম টানার কোনও পরিকল্পনাও যে নেই তাদের, তা ডিসেম্বর মাসে দলের বৈঠকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং। বরং পরমাণু শক্তির উপর আরও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। আমেরিকার মোকাবিলা করতে, তাদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে আরও কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণও করা হবে বলে জানান।
(Feed Source: abplive.com)