জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা থেকে জেলা। কাকভোরেই ঘাটে ঘাটে মকর স্নান। বাবুঘাটে একটুকরো গঙ্গাসাগর। নাগাড়ে নজরদারি। যে সব পুণ্যার্থীরা শেষ পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না, তাঁরা কলকাতার গঙ্গার ঘাটেই পুণ্যস্নান সারেন। সেই মতো আজ কলকাতার ঘাটগুলোতেও প্রচুর পুণ্যার্থীদের ভিড়। বাবুঘাট ট্রানজিট ক্যাম্প সংলগ্ন বাঁজা কদমতলা ঘাটেই সব থেকে বেশি ভিড় হয়। এছাড়া জাজেস ঘাট, বাবুঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাটেও চলছে পুণ্যস্নান। সোমবার ভোর ৪.৪১ মিনিটে শুরু হয়েছে মাহেন্দ্রযোগ। এদিন প্রায় দিনভর যোগ রয়েছে।
তবে বাংলায় পৌষ সংক্রান্তি মানেই ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরির ধুম। পৌষপার্ব্বণ নিয়ে বাংলার কোণায় কোণায় নানা রকমের রীতি প্রচলনও রয়েছে। এই দিন বহু মানুষ আকাশে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত থাকেন । এমনকি বহু জায়গায় ঘুড়ির প্রতিযোগিতা হয়। দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের পুর দিয়েই প্রধানত পিঠা তৈরি হয় ঘরে ঘরে। সাধারণত অধিকাংশ বাড়িতেই যে কয়েকটি পিঠা বানানো হয় তা হল পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, গুড় পিঠা গোকুল পিঠা ইত্যাদি।
হরেক রকম পিঠার সম্ভার দেখা যায় গ্রাম বাংলায়। শহরে অবশ্য এখন সবটাই দোকানে মেলে। চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মোলপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি তো চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যায় বাড়িতে। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন গৃহস্থ বাড়িতে চাল ভিজিয়ে রাখা হত। পিঠে তৈরির জন্যে ভেজানো চাল কতটা নরম হতে হবে। পিঠের সঙ্গে সংক্রান্তির দিনে তৈরি হত নতুনগুড় দিয়ে পায়েসও। নতুন চাল আর গুড়ের সেই গন্ধ বাঙালির আরেক ঐতিহ্য! সংক্রান্তির সেই ঐতিহ্যপূর্ণ নৈবেদ্য বহু বাড়িতেই সর্বপ্রথমে গৃহদেবতাকে নিবেদন করা হত।
কিন্তু এই পরম উপাদেয় মিষ্টান্নকে কেন পিঠে বলা হয় তা জানেন না অনেকেই। পিঠে পুলি নামে পরিচিত হলেও আসল কথাটি হল পিঠা। এই ‘পিঠা’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃতি ‘পিষ্টক’ শব্দ থেকে। পিষ্ট কথার অর্থ হল চূর্ণিত, মর্দিত বা দলিত। চাল গুঁড়ো করে বানানো হয় বলে এর নাম পিঠা।
(Feed Source: zeenews.com)