শীতের সকালে বিশেষ উপলব্ধি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগ উজাড় করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শীতের সকালে বিশেষ উপলব্ধি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগ উজাড় করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলেন কালীঘাটের বাড়ি থেকে। নবান্নে পৌঁছে কাজও ছিল অনেক। তার আগে মাঝ রাস্তায় থমকালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)_। শীতের সকালে ফুটপাতবাসী এবং সাফাইকর্মীদের দেখে নেমে এলেন গাড়ি থেকে। প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে সকলের হাতে তুলে দিলেন শীতের পোশাক, কম্বল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লিখেছেন, ‘মিলন-প্রভাতে দূরের মানুষ, আসিল নিকট মম’। (Kolkata News)

ডিসেম্বর মাস এমনি এমনি পেরিয়ে গেলেও, জানুয়ারির মাঝামাঝি জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকালেও জবুথবুই ছিল শহর কলকাতা। হালকা বৃষ্টিতে আরও স্যাঁতস্যাঁতে বোধ হচ্ছিল। সেই আবহেই পথবাসী এবং সাফাইকর্মীদের হাতে কম্বল তুলে দিলেন মমতা। সরু পাড়ের সাদা শাড়ির উপর হালকা সোয়েটার এবং তার উপর শাল জড়ানো ছিল গায়ে। সেভাবেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিনি। সকলের হাতে শীতের পোশাক এবং কম্বল তুলে দেন। 

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তের কিছু ছবি তুলে ধরেন মমতা। লেখেন, “নবান্ন যাওয়ার পথে সাফাইকর্মীদের দেখে কষ্ট হচ্ছিল। এই শীতের দিনে তাঁদের জীবনযাপন আমাকে ভাবায়। হৃদয়ে বেদনার সঞ্চার করে। তাঁরা আমার এই শহর, রাজ্যকে পরিষ্কার রাখেন। তাই আজ নবান্ন যাওয়ার পথে সকলের হাতে কম্বল তুলে দিলাম।” রবীন্দ্রনাথের লেখা দুই লাইন, ‘মিলন-প্রভাতে দূরের মানুষ আসিল নিকটে মম’ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। 

সকালের ওই অভিজ্ঞতা নিয়ে মমতা আরও লেখেন, ‘নিজের সাধ্য মতো, সর্বদা মানুষের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর আমি। আমার রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যদি একজনও দুঃখ, কষ্টে থাকেন, তাহলে তা আমার কাছে সমান বেদনাদায়ক। জনসেবা করার জন্য, গণদেবতার স্বার্থে, নিজের গোটা জীবন সঁপে দিয়েছি আমি। তাঁরা ভাল থাকলেই, আমার ভাল থাকা। সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন’।

যত দিন থাকবেন, তত দিন বিপদে আপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সর্বতো চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে মঙ্গলবারও জানিয়েছিলেন মমতা। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই দিন একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান তিনি. জানান, রাজ্যবাসী কোনও সরকারি পরিষেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, তা সুনিশ্চিত করতে ২০ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হচ্ছে ‘পাড়ায় সমাধান’।

রাজ্যবাসী কোনও সরকারি পরিষেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, তা সুনিশ্চিত করতে ২০ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হচ্ছে ‘পাড়ায় সমাধান’। জাতিগত শংসাপত্র থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত সরকারি পরিষেবাগুলি পেতে এই শিবিরে আবেদন জানানো যাবে। এর পাশাপাশি, আগামী ২২ জানুয়ারি, অযোধ্য়ায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই বাংলা ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করছেন মমতা। এর বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদালতে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)