সুযোগ বাড়বে নয়া পেনশন স্কিমে, মিলবে করছাড়, বাজেটেই ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র

সুযোগ বাড়বে নয়া পেনশন স্কিমে, মিলবে করছাড়, বাজেটেই ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র

অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। অবশেষে এবারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে (ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট) ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এমনই জানানো হয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের কাছে নয়া পেনশন স্কিম আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে টাকা জমা দেওয়া এবং টাকা তোলার ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া হতে পারে। বিশেষত যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বয়স ৭৫-র বেশি, তাঁদের দিকেই তাকিয়ে মূলত সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। মুখ খোলেননি অর্থমন্ত্রী সীতারামনও। যিনি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ বাজেট পেশ করবেন।

কী কী সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা করা হতে পারে?

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির প্রদেয় টাকার উপর করছাড়ের ক্ষেত্রে ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস’-র (ইপিএফও) সঙ্গে সমতা বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে পেনশন তহবিল সংক্রান্ত বিষয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি’ (পিএফআরডিএ)।

বর্তমানে কর্মচারীদের তহবিল তৈরির জন্য কোনও কোম্পানির থেকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, সেটার ক্ষেত্রে অসাম্য আছে। নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেসিক স্যালারি এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) কন্ট্রিবিউশন যদি ১০ শতাংশ পর্যন্ত হয়, তাহলে করছাড়ের সুবিধা আছে। ইপিএফওয়ের ক্ষেত্রে সেটা হল ১২ শতাংশ।

মার্কিন অডিট, উপদেষ্টা, কর সংক্রান্ত সংস্থা ডেলয়েটের মতে, নয়া পেনশন স্কিমের মাধ্যমে দীর্ঘকালীন অর্থ সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়াতে এবং ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিকদের উপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে আনতে ‘অ্যানুইটি’-র ক্ষেত্রে কর তুলে দেওয়া উচিত। সেইসঙ্গে ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিকদের যাতে রিটার্ন ফাইল করতে না হয়, সেই পদক্ষেপ করা উচিত বলে মত মার্কিন ফার্মের।

আপাতত একলপ্তে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তুললে কোনও কর দিতে হয় না। পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় আয়কর আইনের ৮০সিসিডি (১বি) ধারার ভিত্তিতে নয়া পেনশন স্কিমে যদি ৫০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়, সেটা ‘ডিডাকশন’ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ করযোগ্য আয়ের অঙ্কটা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় যে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় দেওয়া হয়, সেটা বাদ দিয়েও ওই ৫০,০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যায়। নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় এনপিএসের ‘কন্ট্রিবিউশন’-র ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়ারও দাবি উঠেছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)