নিয়ন্ত্রণ রেখায় দাঁড় করিয়ে চিনা জওয়ানদের দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলাল ভারতীয় সেনা !

নিয়ন্ত্রণ রেখায় দাঁড় করিয়ে চিনা জওয়ানদের দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলাল ভারতীয় সেনা !

নয়াদিল্লি: ‘গালওয়ানের’ স্মৃতি টাটকা। এখনও ভিজে আছে চোখ। তথ্য বলছে, ২০২০ পরেও , নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘাতের খবর এসেছে। তবে কি চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বদলাল পট ?  ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও অন্য কথাই বলছে। রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে সীমান্তে ( Line Of Actual Control) চিনা জওয়ানদের দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলালেন ভারতীয় সেনা বাহিনী!

ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, দু দেশের জওয়ানের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। দূরে ধূধূ পাহাড়। তারই মাঝে টেবিল-চেয়ার। সাদা প্লেটে রয়েছে স্ন্যাক্স। বৈঠক শেষে চিনা জওয়ানদের ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারণ করা শেখাচ্ছেন ভারতীয় সেনা। আর  অধীর অপেক্ষায় বলার আগেই মুষ্টি বন্ধ করে কেউ কেউ হাত তুলে ফেলছেন। এবং যাবতীয় চেষ্টা সফল। বলাই বাহুল্য, রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে যখন উদযাপনে ভেসেছে সারা দেশ। ঠিক এমনই সময় এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে। শেষ অবধি স্পষ্টতই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে হাত তুললেন চিনা সেনারা। এমন খুশির মুহূর্তে ‘ভিকট্রি সাইন’ দেখালেন ভারতীয় সেনা। তবে এবিপি লাইভ এই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি।

প্রসঙ্গত, রাজকীয় উদ্বোধনের পরের দিনই রাম মন্দির দর্শনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা চলে যাওয়ার পরেই অযোধ্যার রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। দলে দলে লোক জড়ো হয় রাম মন্দিরে।  অযোধ্যায় ভোররাত থেকে লাইন, মন্দির খুলতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।   দড়ি দিয়ে মন্দিরে জনস্রোত সামলাতেও বেসালাম পুলিশ-প্রশাসন। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি, ভিড়ের চাপে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়ে।  এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষের বেশি দর্শনার্থী মন্দিরে ঢুকতে পেরেছেন বলে সূত্রের খবর।  পরিস্থিতি সামলাতে গর্ভগৃহে যান উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্য সচিব। পরিস্থিতি সামলাতে রাম লালার গর্ভগৃহে উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল ডিজি। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এমনটাই জানা গিয়েছে।

অপরদিকে, রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিনই (Ram Temple) বহুদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের যবনিকা টানলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রামমন্দির প্রতিষ্ঠানের দিন এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেটাও একটা সময় ছিল, যখন কিছু মানুষ বলেছিল যে, রামমন্দির তৈরি হলে আগুন লেগে যাবে। এরকম মানুষ ভারতের সামাজিক পবিত্র দিককে জানতেই পারেনি। রামলালার এই পবিত্র মন্দিরের নির্মাণ, ভারতীয় সমাজের শান্তি, সদভাবের প্রতীক। আমি দেখছিলাম, যে রাম মন্দিরের নির্মাণ কোনও আগুনকে নয়, নতুন তেজের জন্ম দিয়েছে।’

(Feed Source: abplive.com)