বদলে গেল পরিচয়, এবার থেকে এই নামেই ডাকা হবে রামলালাকে

বদলে গেল পরিচয়, এবার থেকে এই নামেই ডাকা হবে রামলালাকে

নয়াদিল্লি: গতকালই অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার (Ram Lalla)। অরুণ যোগীরাজের তৈরি কৃষ্ণপাথরের এই ৫১ ইঞ্চির রামলালার মূর্তিকে এবার থেকে নতুন নামে ডাকা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন রাম মন্দিরের এক পুরোহিত। ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এবার রামলালা পরিচিত হবেন বালক রাম (Balak Ram) রূপে।

রাম মন্দিরের পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত (Arun Dixit) এই নতুন নাম সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘বালক রাম হল রামের এমন এক মূর্তি যা তাঁর ৫ বছর বয়সের চেহারাকে প্রতিবিম্বিত করে। ৫০-৬০ টি মন্দিরে আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা একেবারে অলৌকিক এবং পরম প্রাপ্তির মত।’

সোমবার ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রামলালার মন্দিরের উদ্বোধন করেন, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। মঙ্গলবার থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেছিলেন রামলালার দর্শনের জন্য। উদ্বোধনের দিন কঠোর নিরাপত্তা ছিল মন্দির চত্বরে। বলি তারকা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি সহ আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৭০০০ অতিথি। তবে মঙ্গলবার থেকেই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত দ্বার রাম মন্দিরের।

৫১ ইঞ্চি লম্বা এবং ৩ ফুট চওড়া এই রামলালার কালো পাথরের মূর্তির কারিগর মাইসোরের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। শ্রীরামের মতই হাতে তির ধনুক লক্ষ করা যায় এই মূর্তিতে। রামলালার মূর্তির মুকুটে রয়েছে সূর্য, শঙ্খ, স্বস্তিক, চক্র ও গদা। এমনকী দেখা যায় যে রামলালার মূর্তির চালচিত্রের মধ্যে শোভা পাচ্ছে বিষ্ণুর দশাবতারের আদল। গণেশ ভট্ট, যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পাণ্ডে এই তিনজন ভাস্কর আলাদা আলাদাভাবে তৈরি করেছেন রামলালা মূর্তি। মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানা গিয়েছে একটি মূর্তি গর্ভগৃহে রাখা হয়েছে, যা কিনা অরুণ যোগীরাজের তৈরি আর অন্য দুটি মূর্তি শোভা পাবে মন্দিরের অন্যত্র।

রামলালার পরনে আছে হলুদ ধুতি আর লাল পতাকা যাকে বলা হয় ‘অঙ্গবস্ত্রম’ যার মধ্যে আবার সোনার জরির কাজ। এই পোশাকের বিন্যাস করেছেন মণীশ ত্রিপাঠী। রামলালার অঙ্গের গহনা দান করেছেন লক্ষ্ণৌয়ের এক স্বর্ণব্যবসায়ী। রামলালার মূর্তির কারিগর অরুণ যোগীরাজ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠাই তাঁর কাছে তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থেকে যাবে। আবেগবিহ্বল হয়ে অরুণ নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করেছেন এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য।

(Feed Source: abplive.com)