Class 11 exam: প্রথমার্ধে উচ্চমাধ্যমিক, দ্বিতীয়ার্ধে একাদশের পরীক্ষা!

Class 11 exam: প্রথমার্ধে উচ্চমাধ্যমিক, দ্বিতীয়ার্ধে একাদশের পরীক্ষা!

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রাজ্যের সব উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুসারে, স্কুলগুলি চাইলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিতে পারবে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে স্কুলগুলি চাইলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে পরীক্ষার সময়সূচী আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং তা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার সময়ও এগিয়ে এনেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যেসব স্কুল এখনও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেয়নি, তারা মনে করলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে দ্বিতীয়ার্ধে সেই পরীক্ষা নিতে পারবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষা নেওয়া যাবে। তবে এই সুযোগ শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার বাকি থাকা স্কুলগুলির জন্য প্রযোজ্য।

অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে স্কুলগুলির একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার কাজ সহজ হবে। কারণ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। ফলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা করে স্কুল বন্ধ করতে হবে না।

যদিও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বেলার দিকে শুরু হওয়ার রেওয়াজ ছিল এতদিন। তবে চলতি বছর থেকে সেই নিয়মে বদল এনেছে রাজ্য। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সকাল পৌনে ১০টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শুধু উচ্চমাধ্যমিক নয়, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ও এ বছর থেকে এগিয়ে এনেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা নিয়ে বাংলার শিক্ষা মহল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও এসেছে। যদিও পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের যুক্তি ছিল, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্ধেই এই সিদ্ধান্ত। যেহেতু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সকাল সকাল হয়ে যাচ্ছে, ফলে দ্বিতীয়ার্ধের সময়টা ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলি মনে করলে, সেদিনই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিতে পারবে।

অন্যদিকে একাদশের পরীক্ষা একই দিনে করতে চেয়ে একাধিক স্কুল ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয়ার্ধে করতে চাই। কারণ এই বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ফলে একাদশের পড়ুয়ারা দ্বাদশে উঠে সিলেবাস শেষ করার পর্যাপ্ত সময় পেয়ে যাবে।’ তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘সময় এগিয়ে আনার বিষয়টি সংসদ খোলসা না করলেও সময়ে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)