চা শিল্পে এআই-এর প্রয়োগ: বাড়তে পারে গুণমান, কমতে পারে কর্মসংস্থান

চা শিল্পে এআই-এর প্রয়োগ: বাড়তে পারে গুণমান, কমতে পারে কর্মসংস্থান

চা শিল্পে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই অসমের জোরহাটে যন্ত্র দিয়ে চা পাতা তোলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই যন্ত্রটি ছোট-বড় পাতা চিহ্নিত করতে পারে। বাগানে স্প্রে করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। পাতার গুণমান পরীক্ষা করতে এআই কয়েক মিনিটে ফলাফল দিতে পারে। আবহাওয়া পরীক্ষা করে মাটির আর্দ্রতা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা জানা যাবে।

শ্রমিক সংগঠনগুলো চা উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, এতে চায়ের গুণমান ও উৎপাদন বাড়বে। তবে, আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চা শিল্প ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। দেশে চা উৎপাদনের প্রায় ৮৫ শতাংশই হয় পশ্চিমবঙ্গে। চা বাগানের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। তবে, চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো নয়। গত এক বছরে চায়ের উৎপাদন কমেছে এবং দামও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে চা শিল্পকে আধুনিকীকরণের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। এআই-এর প্রয়োগ চা শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

পাতার গুণমানও ‘এআই’ কয়েক মিনিটে পরীক্ষা করে বলে দেবে বলে দাবি।

এআই ব্যবহার করে চা পাতা তোলা, পাতার গুণমান পরীক্ষা করা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা, রোগ-পোকা দমন করা ইত্যাদি কাজ করা সম্ভব। এতে চায়ের উৎপাদন ও গুণমান বাড়ানো সম্ভব। ইতিমধ্যেই অসমের জোরহাটে যন্ত্র দিয়ে চা পাতা তোলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই যন্ত্রটি ছোট-বড় পাতা চিহ্নিত করতে পারে। ফলে, চায়ের গুণমান বাড়ানো সম্ভব। বাগানে স্প্রে করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়। পাতার গুণমান পরীক্ষা করতে এআই কয়েক মিনিটে ফলাফল দিতে পারে। এতে চায়ের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আবহাওয়া পরীক্ষা করে মাটির আর্দ্রতা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা জানা যাবে। এতে চা গাছের যত্ন নেওয়া সহজ হয়।

শ্রমিক সংগঠনগুলো চা উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, এতে চায়ের গুণমান ও উৎপাদন বাড়বে। তবে, আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অতুল আস্থানা জানান, বাগানগুলোতে এখনও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই আধুনিক যন্ত্র আনা হলে, শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হবে না। চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো নয়। গত এক বছরে চায়ের উৎপাদন কমেছে এবং দামও কমেছে। চা বাগানের জমিতে পর্যটন প্রকল্প গড়ে ওঠায় বাগান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও পাট্টা দেওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। চা শিল্পকে এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

(Feed Source: hindustantimes.com)