চন্দননগরের এক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌম্যপ্রভ গাঙ্গুলf কী জানালেন, আসুন পড়া যাক।
- মাধ্যমিক পরীক্ষা তো এসেই গেল, আপনার বিষয় জীবন বিজ্ঞান নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কী বলতে চান?
শুরুতেই বলব, আগের তুলনায় এখন প্রশ্নের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে ফলে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ প্রশ্ন সরাসরি থাকলেও বাকি অর্ধেক প্রশ্ন একটু ট্রিকি ধরনের বা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। অনেক বেশি অ্যাপ্লিকেশন-বেসড প্রশ্ন আসছে এখন পরীক্ষাতে। ছাত্রছাত্রীরা থিওরিগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন করতে পারছে কিনা, সেই দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
- একটু উদাহরণ দিয়ে যদি বলতেন।
যেমন ধরো ‘জঙ্গলে বাঘের শব্দ পেলে তোমার কী প্রতিক্রিয়া হবে?’ এই ধরনের প্রশ্ন আসছে, যেটা আসলে প্রতিবর্ত চাপ ছাড়া অন্য কিছু নয়। প্রশ্নের এই ধরনের বদল ঘটেছে। তবে, এখন পরীক্ষাতে অনেকটাই বেশি নম্বর তোলা যায়।
- কী কী ভাবে ছাত্রছাত্রীরা নম্বর তুলতে পারে?
এখন এমসিকিউ এবং ছোট প্রশ্ন মিলিয়ে মোট ৩৬ নম্বরের উত্তর দিতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। তার মধ্যে আবার ছোট প্রশ্নের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নও থাকে। তবে এখন আর নোটস পড়লে চলবে না, বাজার চলতি টেক্সট বইগুলোই ভালো করে পড়তে হবে।
- জীবন বিজ্ঞানের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে ছবি বা ডায়াগ্রাম একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটা নিয়ে কী মতামত?
ছবি খুবই সহজ একটা বিষয়। দুটো বা তিনটে ছবি তুমি প্র্যাকটিস করে গেলেই সেগুলি পরীক্ষায় চলে আসবে বলে আমার ধারণা। নিউরনের ছবি, প্রতিবর্ত চাপের ছবি এবং কোষ বিভাজনের যেকোনও একটি দশার ছবি আঁকতে দেবে বলে আমার ধারণা। ছবিগুলি খুব পরিষ্কার করে আঁকতে হবে অবশ্যই।
- শর্ট কোশ্চেন ছাড়া বাকি প্রশ্নগুলি সম্পর্কে যদি একটু জানাতেন।
প্রথমেই তো বললাম শর্ট কোশ্চেন যে করতে পারবে, মাধ্যমিক তার। দুই ও তিন নম্বরের প্রশ্নের উত্তর ভালো করে প্র্যাকটিস করতে হবে। দু’নম্বরের প্রশ্নগুলো ১+১ এবং ৫ নম্বরের প্রশ্নগুলি ৩+২ তে বিভক্ত থাকবে। টেক্সট বইয়ের ওপরই ভরসা রাখতে হবে আমাদের।
- মাধ্যমিকের সিলেবাস-এর জীবন বিজ্ঞানের কোন অধ্যায়গুলি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা একটু সমস্যায় পড়ে বলে আপনার মনে হয়?
যে ইউনিটটা নিয়ে ওদের একটু সমস্যা হয়, বায়োডাইভারসিটি এবং ন্যাশনাল পার্কের চ্যাপ্টারটি তাই আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে। যেমন বিভিন্ন অভয়ারণ্য, সেই অঞ্চলের প্রাণী এবং তার অবস্থান, এইগুলি তারা যদি একটি টেবিলের মাধ্যমে অনুশীলন করে, তাহলে পরীক্ষায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
- নম্বর তোলার স্পেশাল পরামর্শ কী দেবেন?
নোটস বা সাজেশনের দিকে না গিয়ে অবশ্যই টেক্সট বই পড়তে হবে। হরমোনের চ্যাপ্টারটি যদি ভালো করে পড়ে, ওই তিনটি ছবি যেগুলো বললাম, সেগুলো যদি ভালো করে পড়ে অনেকটাই কমন পাবে। এক নম্বরের প্রশ্নের ক্ষেত্রে বা এমসিকিউ-এর ক্ষেত্রে যদি ‘or’ থাকে, তাহলে সব কটি উত্তরই করে আসতে হবে। যেহেতু নেগেটিভ মার্কিং নেই, তারা কিছু নম্বর বেশি পেতে পারে।
- মাধ্যমিকের খাতা ঠিক কীভাবে সাজানো প্রয়োজন?
ছবি আঁকার ক্ষেত্রে পরিষ্কার করে ছবি আঁকতে হবে এবং যে পেজে ছবি আঁকা হবে সেই পাতায় অন্য কোন লেখা শুরু করা প্রয়োজন নেই। যাদের হাতের লেখা একটু জড়ানো ধরনের, তারা অবশ্যই ফাঁকা ফাঁকা করে লিখবে। আর চেকার বোর্ডের কোন প্রশ্ন এলে সেই প্রশ্নে অবশ্যই চেকার বোর্ডে ছকটি আঁকতে হবে। প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত না লিখে টু দ্য পয়েন্ট উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে পড়ুয়াদের। চিন্তার কিছু নেই, জীবন বিজ্ঞানে নম্বর তোলা খুবই সহজ। বেস্ট অফ লাক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।
(Feed Source: hindustantimes.com)