ইজরায়েলে ১০ হাজার নির্মাণ শ্রমিক লাগবে, সেই জন্য রাজ্য সরকার উত্তরপ্রদেশের একটি কলেজে নির্দিষ্ট কাজটির জন্য দক্ষতা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মিশন কর্মসংস্থান প্রকল্পের (Mission Employment Scheme) অধীনে ইজরায়েলে ভারতীয় কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এই দক্ষতা পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এক বরিষ্ঠ অধিকর্তার সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী দক্ষতা মাপার জন্য শাটারিং অর্থাৎ কাঠামো বানানোর সময় ভারবহনের ব্যবস্থা করা, মার্বেল এবং টাইলস ঠিক করে বসানো এবং দেওয়াল প্লাস্টার করা প্রভৃতি বিষয়ে কর্মদক্ষতা যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ অবধি এই শ্রমিকদের এই দক্ষতা মাপার পরীক্ষা চলবে।
গত বুধবার হাজারে হাজারে চাকরি প্রার্থীরা উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ অঞ্চলের সরকারি আইটিআই কলেজে জড়ো হয়েছিল ইজরায়েলে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের যোগ দেওয়ার জন্য। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এমনকি রাজ্যের বাইরে থেকেও চাকরিপ্রার্থীরা এসেছিলেন। চলমান ইজরায়েল-গাজা সংঘাত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও দিনমজুররা ইজরায়েল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যেতে চাইছেন। কারণ দেশে সঠিক বেতনের কোনও কাজ নেই। যেসব কাজ করে দেশে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি পাওয়া যায় না, ইজরায়েলে এই কাজের জন্য প্রতি মাসে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পাওয়া যাবে এবং ১৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত বোনাসও পাওয়া যাবে। বেকারত্ব এবং কম মাইনের বিভিন্ন চাকরির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে চাকরিপ্রার্থীরা ইজরায়েলে এই কাজের সুযোগকে জীবনের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যেমন আছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের যুবকেরা তেমনি ৩৫-৪০ বছরের মানুষও আছেন। সঠিক বেতনের একটি স্থিতিশীল কাজে নিযুক্ত হওয়া সবারই লক্ষ্য। সহকারী শিক্ষক হওয়ার জন্য বেসিক ট্রেনিং সার্টিফিকেট (BTC) কোর্স সম্পন্ন করা ২৯ বছর বয়সী স্নাতক আশিস মিশ্রর কথায় ‘কে আর দেশের বাইরে যেতে চায়? কিন্তু পরিবারের জন্য তো যেতেই হবে।’ সুদূর আজমগঞ্জ থেকে আসা আশিস মিশ্র আরও বলেন, ভারতে শ্রমিকের কাজের জন্য যে বেতন পাওয়া যায়, তা খুবই কম কিন্তু বাইরের দেশে তা বেশি। বরাবাঙ্কি থেকে আগত ৩৮ বছর বয়সী এক শাটারিং কর্মী মঙ্গল সিং বলেছেন ‘আমরা এখানে নিয়মিত ভিত্তিতে ছোট ছোট কাজ পাই, দেশের বাইরে বেশি মাইনের চাকরি পেলে কেন যাব না?’
(Feed Source: hindustantimes.com)