World Leprosy Day: জানুয়ারির শেষ রবিবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে কেন গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

World Leprosy Day: জানুয়ারির শেষ রবিবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে কেন গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

সম্প্রতি চলে গেল বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। কুষ্ঠ রোগ মূলত ত্বক এবং স্নায়ুকে প্রভাবিত করে। হ্যানসেন ডিজিজ নামেও পরিচিত কুষ্ঠ একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রামক রোগ। এটি উপরের শ্বাস নালী এবং চোখকেও প্রভাবিত করে। কুষ্ঠ রোগের লক্ষণগুলি হল মূলত: ফোসকা, ফুসকুড়ি, স্পর্শের অনুভূতি হ্রাস, তাপমাত্রা সংবেদনশীলতা হ্রাস, ওজন হ্রাস এবং জয়েন্টগুলোতে ব্যথা ইত্যাদি। মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে কুষ্ঠ রোগ হয়। তবে এই রোগ সঠিক চিকিৎসা করলে নিরাময়যোগ্য। যাইহোক, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে রোগীরা নিরাময়ের জন্য সময়-সুযোগ পান।

প্রতি বছর এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে এবং চিকিৎসার বিকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়৷ বিশেষ দিনটি উদযাপন করার সময়, এখানে কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়। এই বছর গতকাল ২৮ জানুয়ারি পালিত হয়ে গেল ২০২৪ সালের বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।

কিন্তু কী ভাবে এল এই কুষ্ঠ দিবস পালনের রীতি? ইতিহাস বলছে, ১৯৫৪ সালে ফরাসি সাংবাদিক রাউল ফোলেরেউ এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে প্রচার করেন। রোগীদের উন্নত জীবন দিতে পারে এমন চিকিৎসার পদ্ধতি খুঁজে বের করা ও সেই সংক্রান্ত প্রচারের জন্য বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করার জন্য জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবারকে বেছে নিয়েছিলেন। এই দিনটিকে সাংবাদিকরা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন। আমরা সকলেই জানি গান্ধীজি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সসহানুভূতিশীল ছিলেন। তার আশ্রমে বহু কুষ্ঠরোগীর সেবাও করতেন নিজ হাতে। বর্তমানে কুষ্ঠ রোগ অনেকটাই কমে এলেও অপুষ্ঠি, অপরিচ্ছন্নতার কারণে অনেকেই আক্রান্ত হন এই রোগী। বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস এই রোগ নিরাময়ের জন্য শপথগ্রহণের দিনও বটে।

(Feed Source: hindustantimes.com)