এক গ্লাস আম লস্যির জন্য চিয়ার্স! ভারতের এই জনপ্রিয় দুগ্ধজাত পানীয় এবার বিশ্বের চোখে অন্যতম হয়ে উঠেছে। গ্রীষ্মকালে দেশের জান ম্যাঙ্গো লস্যি জিতে নিয়েছে সেরা পুরস্কারটি। ২০২৩-২৪ সালের হিসাবে জনপ্রিয় খাদ্য ও ভ্রমণ গাইড TasteAtlas বিশ্বের সেরা দুগ্ধ পানীয়ের খেতাব দিয়েছে এই পানীয়কে। আমের লস্যি হল দই এবং তাজা আমের একটি সতেজ মিশ্রণ। এতে সাধারণত এলাচ, পানি এবং চিনি থাকে। স্বাদ ও শোভা বাড়ানোর জন্য রেসিপিটিতে ভেজানো জাফরান স্ট্র্যান্ড ও কেশরও মিশিয়ে থাকেন অনেকে। ঠান্ডা ঠান্ডা আমের লস্যি গরমের জ্বালা জুড়িয়ে দেয়।
ভারতের আমের লস্যিকে সেরা বলে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরস্কার ঘোষণা করেছিল TasteAtlas। এরপর থেকেই শুরু সেলিব্রেশন। একজন ব্যবহারকারী “লস্যির আধিপত্য” হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্য একজন আবার লিখেছেন যে আমের লাস্যি ‘সেরা সেরা।’ কারও কথায়, আলফোনসো আমের তৈরি লস্যি বেশি সুস্বাদু। আবার ব্রাজিলের একজন শিক্ষক বিভিন্ন স্বাদের লস্যির অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি আমার ছাত্রদের (আমরা ব্রাজিলিয়ান) ভারত সম্পর্কে শেখাচ্ছিলাম, এবং সেখানে এই রেসিপিটি ছিল। এরপর আমরা এটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই। সত্যিই দারুণ স্বাদের। অর্থাৎ এই কমেন্ট বিভাগটি প্রমাণ করে যে আমের লস্যি সারা বিশ্বের মানুষই পছন্দ করেন।
লস্যি হল প্রি-ফ্রিজারেশন যুগের একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় স্মুদি। পঞ্জাবের কৃষকরা দুধে চিনি এবং দই মিশিয়ে এই সুস্বাদু পানীয়টি বানাতেন। যা গ্রীষ্মের তাপে, মাথার তালুকে সতেজ করতে এবং শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করত এবং আজীবন করবে। লস্যি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং নোনতা স্বাদে পাওয়া যায়। বিভিন্ন খাবারের আগে ও পরে খাওয়া যায় লস্যি। অনেকেই ক্রিমি এবং সুস্বাদু করার জন্য লস্যির উপরে মালাই যোগ করতে পছন্দ করেন। আপনি আপনার পছন্দ মতোই জলের পরিমাণ সামঞ্জস্য করে – ঘন বা পাতলা লস্যিও বানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, TasteAtlas-এর ২০২৩-২৪ সালের জন্য বিশ্বের সেরা ১৬টি দুগ্ধজাত পানীয়ের তালিকায় আমের লস্যি প্রথম স্থানে রয়েছে। তালিকায় ৪ নম্বরে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড পঞ্জাবি লস্যিও। আমের লস্যির পাশাপাশি অন্যান্য লস্যির মধ্যে রয়েছে মিঠা বা মিষ্টি লস্যি, লবণাক্ত লস্যি, ভাং লস্যি এবং পুদিনা লস্যি। মিষ্টি লস্যি বিশ্বের ৫ তম সেরা দুগ্ধ পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)