টলোমলো গদি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের? ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’-র মুখে পড়তে পারেন মহম্মদ মুইজ্জু

টলোমলো গদি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের? ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’-র মুখে পড়তে পারেন মহম্মদ মুইজ্জু

নয়াদিল্লি: সরকারপন্থী এবং বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে হাতাহাতির পর দিনই প্রশ্নের মুখে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের (Maldives President About To Face Impeachment Motion) রাজনৈতিক ভবিষ্য়ৎ। সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’ তৈরি করে ফেলেছে মলিদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। দ্বীপরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে মলদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-র। সেক্ষেত্রে কী হতে চলেছে মলদ্বীপে? বাড়ছে জল্পনা।

কী হয়েছে?
মুইজ্জুর ক্যাবিনেটে চার জন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সরকারপন্থী ও বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অশান্তি বেধেছিল গত কাল। সেখান থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। তার পর দিনই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘ইমপিচমেন্ট মোশন’ আনতে চলেছে মলদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও এই সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব দেশের পার্লামেন্টে জমা পড়েনি।
মলদ্বীপের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টকে ‘ইমপিচ’ করতে হলে সে দেশের পার্লামেন্টে তা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হওয়া দরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ৮০। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ-র মলদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ঝুলিতে এমনিতেই ৪৩টি আসন রয়েছে। আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, মহম্মদ নাশিদের ‘দ্য ডেমোক্র্যাট’স পার্টি’-র হাতে রয়েছে ১৩টি আসন। দুই বিরোধী দল হাত মেলালে তাদের আসনসংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬, যা কিনা ইমপিচ করার জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা ৫৪-র থেকে বেশি। এহেন পরিস্থিতি মলদ্বীপের পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে এগোয় সেটাই দেখায়। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা হলেও তিক্ত হয় দ্বীপরাষ্ট্রের।

ভারতের সঙ্গে টানাপড়েন মলদ্বীপের…
বিতর্কের সূত্রপাত মলদ্বীপের তিন প্রাক্তন মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে। মূল অভিযোগের তির ছিল মরিয়ম শিউনার দিকে। অভিযোগ, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে ‘জোকার’ ও ‘ইজরায়েলের হাতের পুতুল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হালে লাক্ষাদ্বীপ-সফরে যান। সেই সফর ঘিরেই এই কটাক্ষ-বাণ তাঁর, অভিযোগ ওঠে। একই ধরনের আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ছিল মলদ্বীপের বাকি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়। এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে এক ভারতীয় মলদ্বীপকে ‘চিনের হাতের পুতুল’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করায় গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও বড় করে আলোচনা শুরু হয়। ওই ব্যক্তিই লাক্ষাদ্বীপকে, মলদ্বীপের তুলনায় উন্নত পর্যটনস্থল বলে দাবি করেন। দু-পক্ষের টানাপড়েন অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায় যখন একের পর এক বলি-তারকা মলদ্বীপের মন্ত্রীদের এই ধরনের আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পোস্ট দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অক্ষয় কুমার থেকে সলমন খান, জন আব্রাহাম থেকে শ্রদ্ধা কপূর, সকলেরই দাবি ছিল একটাই। মলদ্বীপ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও এই ‘অপমান’ মেনে নেওয়া হবে না। বিতর্ক বাড়তে থাকায় তিন ডেপুটি ক্য়াবিনেট মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে মলদ্বীপ সরকার।

(Feed Source: abplive.com)