ভারত ৫জি পোর্টাল চালু করেছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। টেলিকম সেক্রেটারি নীরজ মিত্তাল পোর্টালটি চালু করার পরে বলেছিলেন যে এবার থেকে এই পোর্টালে কোয়ান্টাম, আইপিআর, ৫জি এবং ৬জি নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সমস্ত কাজ করা হবে। মিত্তালের মতে, ৫জি রোলআউট ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছে। আর, ভারতের টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম।
- টেলিকম সেক্টরে স্টার্টআপগুলির জন্য আরও ভাল বিনিয়োগের সুযোগ:
টেলিকম সচিব মিত্তাল ভবিষ্যতের স্টার্টআপগুলির সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত করার জন্য একটি বিশেষ বৈঠকও শুরু করেছেন৷ বৈঠকের শিরোনাম ‘ব্রিজিং ড্রিমস অ্যান্ড ফান্ডিং: কানেক্টিং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল/ইনভেস্টর উইথ দ্য ফিউচার অফ স্টার্টআপ’। বিশেষ এই সভার অধিবেশন শুরু হওয়ার ফলে, এখন টেলিকম সেক্টরে স্টার্টআপগুলির জন্য আরও ভাল বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে অনুমান। এই সেশনে, ২৬টি স্টার্টআপ টেলিকম পণ্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ১০ টিরও বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট/বিনিয়োগকারী ওই সভায় অংশ নিয়েছিলেন।
এছাড়াও সরকার পরবর্তী টেলিকম প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সরকার ৬জি মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য ইকোসিস্টেম উন্নয়নের দিকে নজর রাখছে। টেলিকম সচিব নীরজ মিত্তলের মতে, এটি ওয়ান-স্টপ সমাধান হিসাবে কাজ করবে। মিত্তালের কথায়, ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারত খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশীয় ৪জি এবং ৫জি প্রযুক্তির বিকাশ করে সমগ্র বিশ্বকে ‘বিস্মিত’ করেছে। ভারতে আজ এক লক্ষ স্টার্টআপ রয়েছে। এটি বিশ্বের দেশগুলির জন্য ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করার একটি বড় সুযোগ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
টেলিকম সচিবের মতে, সরকার টেলিকম খাতে স্টার্টআপগুলির জন্য বিনিয়োগের সুবিধাও দিচ্ছে। কারণ, সরকার বিশ্বাস করে যে এই ধরনের উদ্যোগগুলি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং টেলিযোগাযোগ শিল্পের বিকাশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতির একটি বড় প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে। এরই পাশাপাশি ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম প্রযুক্তি স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেম রয়েছে। টেলিকম সেক্রেটারি মিত্তাল বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী আমাদের আরও বেশি স্টার্ট-আপের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা উচিত। ভারতীয় নির্মাতাদের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করা দরকার।’
(Feed Source: hindustantimes.com)