সেন্টাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিবিএসই) জাতীয় স্তরের শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য অ্যাকাডেমিক কাঠামোতে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন থেকে দশম শ্রেণিতে দুটি ভাষা অধ্যয়ন থেকে তিনটিতে স্থানান্তর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে দুটি ভাষাকে অবশ্যই ভারতীয় স্থানীয় ভাষা হতে হবে। শুধু তাই নয় দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের এখন পাস করতে গেলে কমপক্ষে ১০টি বিষয়ে পাস করতে হবে। উল্লেখ্য, এতদিন কেবল ৫টি বিষয়ে পাস করলেই দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারত পড়ুয়ারা। একইভাবে, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা কাঠামোতেও বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে, ছাত্রছাত্রীরা একটির পরিবর্তে দুটি ভাষা অধ্যয়ন করবে এবং শর্ত এই যে কমপক্ষে একটি ভাষা অবশ্যই স্থানীয় ভারতীয় ভাষা হতে হবে। এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণির উত্তীর্ণ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাঁচটির পরিবর্তে ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো স্কুল শিক্ষায় একটি জাতীয় কাঠামো বাস্তবায়নের উদ্যোগ। বর্তমানে, স্কুল পাঠ্যক্রমে কোনও আনুষ্ঠানিক ক্রেডিট সিস্টেম নেই। এ বিষয়ে সিবিএসইর পরিকল্পনা অনুসারে, একটি শিক্ষাবর্ষ ১২০০টি ধারণামূলক শেখার ঘণ্টা নিয়ে গঠিত হবে। যাতে ৪০টি ক্রেডিট থাকবে। ন্যাশনাল লার্নিং বলতে বোঝায়, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময়। সহজ ভাষায় বললে, প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘন্টা নির্দিষ্ট করা থাকে যাতে করে, সারা বছর ধরে একজন শিক্ষার্থী মোট ১২০০ শেখার ঘণ্টা ব্যয় করবে। এর মধ্যে স্কুলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষা এবং স্কুলের বাইরে ননঅ্যাকাডেমিক বা অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া CBSE-এর প্রস্তাবে বলা হয়েছে,পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষাদানের সময় এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য অর্জিত ক্রেডিট উল্লেখ করার ব্যাবস্থা থাকছে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী যে সমস্ত একাডেমিক ক্রেডিট অর্জন করবে তা একটি একাডেমিক ব্যাংক অফ ক্রেডিট-এ নিরাপদে রাখা হবে। ক্রেডিটগুলোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বরেরও উল্লেখ থাকবে। এছাড়া ক্রেডিটগুলি সহজেই লিংক করা ডিজিটাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা অ্যাক্সেস করা যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বোর্ড। এই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য, বোর্ড বর্তমান বিষয়গুলোর তালিকায় বহুবিভাগীয় এবং বৃত্তিমূলক কোর্স যুক্ত করতে চলেছে। যার মাধ্যমে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় অধ্যয়ন করা বিষয়ের সংখ্যা বাড়বে। সুতরাং, দশম শ্রেণিতে যেখানে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঁচটি বিষয় (দুটি ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানের তিনটি প্রধান বিষয়) পড়তে হয়, নতুন ব্যবস্থায় তা ১০টি বিষয় হতে চলেছে। এবার থেকে শৈল্পিক শিক্ষা, শারীরিক সুস্থতা এবং শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, পরিবেশগত শিক্ষা, গণনামূলক চিন্তাভাবনার মতো বিষয়গুলিকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে পড়তে হবে।
(Feed Source: hindustantimes.com)