ইনজুরি টাইমের ৬ মিনিটে গোল! জাপানকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের সেমিতে ইরান, উঠল কোরিয়াও

ইনজুরি টাইমের ৬ মিনিটে গোল! জাপানকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের সেমিতে ইরান, উঠল কোরিয়াও

শুভব্রত মুখার্জি:- ফুটবল খেলাটা গোটা বিশ্বে যে কি পরিমাণ জনপ্রিয় তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এর প্রধান কারণ খেলাটাকে ঘিরে থাকা অনিশ্চয়তা। কারণ যে কোনও মুহুর্তে বদলে যায় খেলার রঙ। খাতায় কলমে ফেভারটি থাকা দলও হেরে যায় ম্যাচ। এমন বেশ কিছু ঘটনার সাক্ষী থাকল চলতি এশিয়ান কাপ। যেখানে ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গেল সেমিফাইনালের লাইন আপ। রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন জাপান গেল ছিটকে। নাটকীয়ভাবে জিতে সেমিফাইনালে চলে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। পেনাল্টিতে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। পাশাপাশি সেমিফাইনালে উঠল জর্ডনও।

এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জাপান বনাম ইরান ম্যাচের বয়স ঘড়িতে ততক্ষণে ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেছে। ম্যাচে তখনও ১-১ ফলে রয়েছে সমতা। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ভুলটা করে বসেন জাপানের কো ইতাকুরা। নিজেদের পেনাল্টি বক্সে বড়সড় ভুল করে বসেন তিনি। জাপানের এই ডিফেন্ডার নিজেদের বক্সে পেছন থেকে ভুল ট্যাকেল করে ফেলে দিলেন প্রতিপক্ষের হোসেন কানানিকে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে বাজাল পেনাল্টির বাঁশি। আর সেই স্পট কিকে বল গোল করে ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবাখশ লিখলেন রুপকথা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে এশিয়ান কাপের চারবারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল ইরান। কাতারের আল রায়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনাল পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলের অনবদ্য জয় পেল ইরান। প্রসঙ্গত ২০০৫’র মার্চের পর এই প্রথম জাপানকে হারাল ইরান। ফলে ইরান টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজেয় থাকল।

ম্যাচের শুরুটা ভালো করেছিল সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। ২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের চার ডিফেন্ডারকে অনবদ্য কাটিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হিদেমাসা মোরিতা।বিরতিতে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল জাপান। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় ইরান।সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে গোল করেন মহম্মদ মোহেবি। আলিরেজার জাহানবাকশের শেষের দিকে ওই পেনাল্টি থেকে করা গোলে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নেয় ইরান। শেষ বাঁশি বাজতেই ইরানের ফুটবলার,স্টাফদের আনন্দের বাঁধ ভাঙে। মাঠেই এই জয় তারা উল্লাস-উদযাপন করতে থাকে।

ঘটনাচক্রে এশিয়ান কাপের ইতিহাসে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইরান। ১৯৬৮, ১৯৭২, ১৯৭৬- টানা তিন বছর শিরোপা জিতেছিল তারা।গতবার তারা হেরেছিল সেমিফাইনাল থেকে। এবার তাদের সামনে ফের ফাইনালে ওঠার হাতছানি রয়েছে। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে অনবদ্য কামব্যাক করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে তারা সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে। পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় তারা। পরে অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন অনবদ্য গোলে জয় নিশ্চিত করে। ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র থাকার পরে কাতার তাদেরকে পেনাল্টি শুট আউটে ৩-২ ফলে হারিয়ে পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়া মুখোমুখি হবে জর্ডনের।দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কাতার মুখোমুখি হবে ইরানের।

(Feed Source: hindustantimes.com)