নিষিদ্ধ করা হল বাঁধাকপি মাঞ্চুরিয়ান এই রাজ্যে! কেন?

নিষিদ্ধ করা হল বাঁধাকপি মাঞ্চুরিয়ান এই রাজ্যে! কেন?

আবার বিতর্কে বিশেষ চিনা খাবার গোবি মাঞ্চুরিয়ান। ভারতের রাস্তার বিক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য একটি ফাস্ট ফুড হল গোবি মাঞ্চুরিয়ান। আর এবার এই সুস্বাদু পদটি নিয়েই গোয়ায় শুরু বিতর্ক। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মাপুসাতে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এরইমধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, কেন নিষিদ্ধ করা হল? শোনা গিয়েছে, পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি থেকে শুরু করে কৃত্রিম রং ব্যবহার করার মতো অনেক কিছুই এর কারণ হতে পারে। যদিও এর আগেও গোয়াতে গোবি মাঞ্চুরিয়ান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গোয়ার মাপুসাতে স্টল এবং অন্যান্য ইভেন্ট থেকে গোবি মাঞ্চুরিয়ান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাউন্সিলর তারক আরোলকর গত মাসে এক মন্দিরের অনুষ্ঠান চলাকালীন বলেছিলেন যে বাঁধাকপি মাঞ্চুরিয়ান নিষিদ্ধ করা উচিত। ফিউশন ডিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এই দাবিতে পুরো কাউন্সিলও একমত।

২০২২ সালে শ্রী দামোদর মন্দিরের ভাস্কো সপ্ত মেলায়, FDA অর্থাৎ খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন মুরমুগাও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে বাঁধাকপি মাঞ্চুরিয়ান বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিল। এফডিএ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সমস্যা নিয়ে গোয়ার অনেক মেলায় স্থাপিত স্টলেও অভিযান চালিয়েছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এমএমসি সভাপতি প্রিয়া মিশাল বলেছেন, ‘কাউন্সিলররা মনে করেছিলেন যে বিক্রেতারা স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে কাজ করে না এবং গোবি মাঞ্চুরিয়ান তৈরি করতে সিন্থেটিক রঙ ব্যবহার করেন। এ কারণে এই খাবারটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। তিনি জানান, স্টলের অনুমতি নিতে আসা বিক্রেতাদের  মাঞ্চুরিয়ান বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া গোবি মাঞ্চুরিয়ানে ব্যবহৃত সস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’

গোবি মাঞ্চুরিয়ান তৈরির জন্য নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

ময়দার মধ্যে একধরনের গুঁড়ো এবং ভুট্টার স্টার্চ ব্যবহার করে যাতে ডুবো তেলে ভাজার পরে, ফুলকপির ফুলগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য খাস্তা থাকে। আর এই গুঁড়ো এক ধরনের কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, রান্নার সময় অত্যন্ত নিম্নমানের স্যস ব্যবহার করা হয়। যা অত্যন্ত অ-স্বাস্থ্যকর। তবে বিক্রেতারা বলেছেন, ‘একটি নির্দিষ্ট খাদ্য আইটেমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অযাচিত বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের দাবি,

‘আমরা পৌর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গোবি মাঞ্চুরিয়ান বিক্রি না করার নির্দেশনা পেয়েছি। কিন্তু এই নিয়মটি সকলের জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত। সবাই নিষিদ্ধ বা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছে না। গুটিকয়েক ব্যক্তির কারণে পৌরসভা কেন আমাদের সবাইকে টার্গেট করছে? যখন আমরা স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখছি, স্টল বন্ধ কেন করব?’

(Feed Source: hindustantimes.com)