জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পৃথিবীর বিভিন্ন দিকে পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন হচ্ছে। বহুদিন ধরেই এটা ঘটছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই অধিকাংশ জায়গায় এটা ঘটছে। পাশাপাশি রয়েছে দূষণের তীব্র মাত্রা। এবার হিন্দু কুশ পর্বতের বায়োস্ফিয়ারও যে বিপন্ন, সে কথাই ঘোষণা করে দেওয়া হল। হিন্দু কুশ পর্বতের পরিবেশ পৃথিবীর বায়োডাইভার্সিটি জোনগুলির অন্যতম।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্ট’ (আইসিআইএমওডি) নেপালের কাঠমান্ডুতে ১৩০ জন গ্লোবাল এক্সপার্ট নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিল। কোনও একটি অঞ্চলের জল ও খাদ্যসুরক্ষা, স্বাস্থ্য, বায়োডাইভার্সিটি এবং জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত সেটা দেখে ‘বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস’ (আইপিবিইএস)। নেপালে মুখোমুখি বৈঠক ছিল তাদের সঙ্গেও। এই মিটিং আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরে এই বৈঠকের সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলবে আরও দুদিন– ১০-১১ ফেব্রুয়ারি। সেখানেই ঠিক করা হবে পরবর্তী কর্মপ্রক্রিয়া।
বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, কত দ্রুত হিন্দুকুশ পর্বতাঞ্চল তার পরিবেশ-প্রকৃতিগত সম্পদগুলি হারাচ্ছে। এর ফলে বদলাচ্ছে এখানকার জীববৈচিত্র, ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের। এলাকাটা বিপুল– ৩৫০০ কিলোমিটার। হিন্দুকুশ পর্বতের বায়োডাইভার্সিটি বিনষ্ট হলে এর ফল ভুগবে ভারত-সহ আফগানিস্তান বাংলাদেশ ভুটান চিন মায়ানমার নেপাল ও পাকিস্তান। হিন্দুকুশ সম্পর্কিত আলোচনা থেকে উঠে এসেছে এই সত্য যে, যে দ্রুত হারে হিন্দুকুশ পর্বতাঞ্চলের জীববৈচিত্র বিনষ্ট হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে শুধু যে, এ অঞ্চলের গাছপালা-পশুপাখিই সংকটে পড়বে তা নয়, সংকটে পড়বে মানুষও। আর সেটাই সব চেয়ে ভয়ের।
২৪ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করেন এই অঞ্চলে। যাঁদের ৩১ শতাংশই খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন! ফলে, বিষয়টি আর সাধারণ স্তরে নেই। এখনই হিন্দুকুশ নিয়ে সতর্ক না হলে আগামী দিনে বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রকৃতিকে দেখলে প্রকৃতিও মানুষকে দেখে, রক্ষা করে। উল্টোটা কিন্তু ভয়ংকর। আশা করা যায়, ভয়ংকর সেই দিন দেখার জন্য বসে থাকবে না মানুষ।
(Feed Source: zeenews.com)