‘সুপার আর্থ’ মাত্র ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে, উত্তেজিত নাসা

‘সুপার আর্থ’ মাত্র ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে, উত্তেজিত নাসা

১৯ দিনে এক বছর হয় অন্য পৃথিবীটিতে। মানুষের পৃথিবী থেকে ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে সে। এটি হল সুপার-আর্থ। এক অভূতপূর্ব আবিষ্কারে, সম্প্রতি, এমনটাই জানতে পেরেছে নাসা। এখানে পৃথিবীর মতো প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহটির সঙ্গে পৃথিবীর অনেক মিল রয়েছে, সঙ্গে কিছু মজার তথ্যও রয়েছে।

যেমন এটি আমাদের পৃথিবীর চেয়ে প্রায় দেড় গুণ বড়। এটি একটি লাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরছে। সেই নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে সামান্য ছোট হলেও এত গরম নয়, বেশ ঠান্ডা। এই গ্রহে পুরো বছর মাত্র ১৯ দিনেই কেটে যায়। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহটির নাম দিয়েছেন TOI-715 b।

পৃথিবীর সঙ্গে ঠিক কী কী মিল রয়েছে এই সুপার আর্থের?

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবী যেমন মহাকাশে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, তেমনি এই গ্রহটি একটি বামন ও লাল রঙের নক্ষত্রের চারদিকে ঘোরে। সূর্য যেমন খুব গরম, বিপরীতে লাল তারাটি খুব ঠান্ডা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহে জল থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এখানে জীবনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না।

উল্লেখ্য, NASA এখন TOI-175 b গ্রহটিকে বাসযোগ্য গ্রহের তালিকায় যুক্ত করেছে, যা ওয়েব টেলিস্কোপের সাহায্যে আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে এবং সেখানে কী ধরনের বায়ুমণ্ডল রয়েছে তাও নির্ধারণ করা হচ্ছে। নাসা তাদের প্রতিবেদনে এই বিষয়ে আরও বলেছে, ‘আমরা এখনও এই গ্রহ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। ভূপৃষ্ঠের জলের উপস্থিতি ছাড়াও, মানুষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং অন্যান্য কারণও রয়েছে এই গ্রহে।’ NASA বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে পৃথিবীর বিকল্প হিসাবে, TOI- 715 b আরও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে মানুষের জন্য।

প্রসঙ্গত, নাসার বিজ্ঞানীরা এর আগেও পৃথিবীর আকারের গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। সেই গ্রহে নাকি পৃথিবীর মতো পাথরও খুঁজে পেয়েছিলেন। নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট থেকে ডেটা ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর আকারের এই সুপার আর্থের নাম দিয়েছিলেন, TOI 700e। বলা হয়েছিল, পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য এই গ্রহে জলের সন্ধানও মিলতে পারে। এখানেই শেষ নয়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর আগে এই সিস্টেমে আরও তিনটি পৃথিবীর অনুরূপ গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন, যাদের নাম ছিল যথাক্রমে, TOI 700 b, c এবং d।

(Feed Source: hindustantimes.com)