কোভিড বিদায় নিয়েছে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। তবে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ‘নেশা’ ছাড়াতে পারছে না টিসিএস। এই আবহে এবার ‘আল্টিমেটাম’ পেশ করল সংস্থা। এর আগেও একাধিকবার কর্মীদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিল সংস্থা। তবে এখনও সব ক্ষেত্রে নাকি তা কার্যকর হয়নি। এরই মাঝে এবার সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার এনজি সুব্রহ্মণ্যম বললেন, মার্চ শেষ হতে হতে যে কর্মী অফিসে ফিরে কাজ করবে না, তাঁদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তবে সেই ধরনের কর্মীদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে, তা খোলসা করে জানাননি টিসিএস-এর সিএফও।
কর্মসংস্কৃতি এবং কাজের গোপনীয়তা রক্ষার জন্যেই টিসিএস কর্মীদের অফিসে ফেরানোর বিষয়ে এত উদ্যোগী বলে জানিয়েছেন সিএফও সুব্রহ্মণ্যম। এদিকে বারবার নির্দেশিকা জারি করেও সব কর্মীদের অফিসে ফেরাতে পারেনি সংস্থা। এই আবহে ধৈর্য্য ধরে আছে শীর্ষ কর্তারা। তবে মার্চ মাসের পর আর ধৈর্য্য ধরা যাবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল কর্মীদের। এদিকে টিসিএস ইতিমধ্যেই কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, আগামীতে প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্ট যে অফিসে আসার ওপর নির্ভর করবে। এর আগে গত বছরের শেষের দিকে নির্দিষ্ট কিছু কর্মচারীর জন্য অফিসে এসে ৫ দিন কাজ করা বাধ্যতামূলক করেছিল সংস্থা। এদিকে ইউনিট লিডারদের সংস্থার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁদের অধীনে থাকা কর্মীদের অফিসে ফেরানো হয়। এদিকে জানানো হয়েছে, ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে মাইনে তখনই বাড়বে যখন তারা প্রয়োজনীয় কিছু কোর্স ওয়ার্ক করবে। এছাড়াও অফিস থেকে যে লোকেশন বলা হয়েছে, কর্মীদের সেখানেই আসার জন্য জোর করছে সংস্থা। অনেকেই তাদের বাড়ির কাছের লোকেশন বেছে নিতে চাইছেন। কিন্তু সেই বিষয়টি তেমন উৎসাহ দিতে চাইছে না সংস্থা।
এদিকে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের বিরুদ্ধে শ’য়ে শ’য়ে কর্মীর বেতন আটকে রাখা এবং হাজার হাজার কর্মীকে জোর করে বদলি করার অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি। এই ঘটনা প্রসঙ্গ টিসিএস-কে নোটিশ পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারের শ্রম দফতর। অভিযোগ, ‘যথেষ্ঠ সময় না দিয়ে’ সংস্থার প্রায় ২০০০ কর্মীকে বদলির নোটিশ ধরিয়েছিল টিসিএস। আইটি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট এই অভিযোগ জানিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল। এদিকে নতুন অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট না করতে পারায় প্রায় ৯০০ কর্মীর বেতন আটকে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে টিসিএস-এর বিরুদ্ধে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বদলির নিয়ম মানতে না পারা কিছু কিছু কর্মীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন বাবদ মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়েছে টিসিএস। এছাড়া অনেক কর্মীরই পুরো বেতনই আটকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে অফিশিয়াল অ্যাটেন্ডেন্স এবং টাইম শিট পোর্টালের অ্যাক্সেসও কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই সব কর্মীর থেকে। এই সবের মাঝেও অবশ্য চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থার ৭০ শতাংশ কর্মীকেই ১০০ শতাংশ ভ্যারিয়েবল পে দিয়েছিল টিসিএস। বাকি ৩০ শতাংশ কর্মীকে তাঁদের কাজের ওপর ভিত্তি করে ভ্যারিয়েবল পে প্রদান করা হয়।
(Feed Source: hindustantimes.com)