জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এটি এই বছরের পঞ্চম ঘটনা। ইন্ডিয়ানার পারডু ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট ছাত্র সমীর কামাথকে সোমবার সন্ধ্যায় একটি প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ওয়ারেন কাউন্টি করোনের অফিস এক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৩ বছর বয়সী এই ছাত্র ২০২৩ সালের অগস্টে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান এবং মার্কিন নাগরিকত্ব নেন। তিনি ২০২৫ সালে তার ডক্টরেট প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি ফরেনসিক ময়নাতদন্ত আজ করা হবে, এবং শীঘ্রই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পারডু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক ছাত্র নীল আচার্যের মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার কয়েকদিন পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তার মা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করার পর ক্যাম্পাসের মাঠে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
তাঁর মা, গৌরী, তায়কে খুঁজতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি জানান যে নীলকে শেষবার একজন উবার ড্রাইভার দেখেছিল যে তাকে ক্যাম্পাসে নামিয়ে দিয়েছিল।
গত সপ্তাহে, ১৯ বছর বয়সী শ্রেয়াস রেড্ডিকে ওহাইওতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় কোনও ফাউল প্লে বা ঘৃণামূলক অপরাধের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
বিবেক সাইনি, জর্জিয়ার লিথোনিয়াতে এমবিএ করছিলেন। ১৬ জানুয়ারী এক গৃহহীন ব্যক্তির হাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তিকে বিনামূল্যে খাবার দিতে অস্বীকার করলে হামলার শিকার হন সাইনি। অভিযুক্ত ফকনার ওই ছাত্রটিকে ৫০ বার আঘাত করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে সাইনির মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ৩০০,০০০-এর বেশি ভারতীয় ছাত্র সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মানসিক চাপ, একাকীত্ব, এবং ড্রাগের অপব্যবহারের সংস্পর্শে আসা এই জাতীয় ঘটনাগুলির মূল কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহায়তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
(Feed Source: zeenews.com)