সময়ের সঙ্গে কি ভালোবাসার সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে? আজকাল ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে, বিয়ের বদলে সহবাসেই অধিক স্বচ্ছন্দ জেন জেড। ভালোবাসার এই বদলে যাওয়া নিয়েই আলোচনা সারলেন বচ্চন পরিবারের তিন প্রজন্ম। বচ্চনের নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দা অভিনয় থেকে শত হাত দূরে, তবে এই স্টারকিডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তেমনই পপ্যুলার নভ্যার পডকাস্ট ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্য়া’।
নভ্য়া শো-এর অতি পরিচিত মুখ তাঁর মা শ্বেতা নন্দা এবং দিদিমা জয়া বচ্চন। ‘সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগ’ জয়ার কাছে কী? জানতে চায় নাতনি। ভালোবাসার রং যেমন লাল, তেমনি বিপদ বোঝাতেও লাল রং ব্যবহার করা হয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেড ফ্ল্যাগ বলতে বোঝায় সঙ্গীর এমন কিছু ইঙ্গিত, যা দেখে আমাদের বোঝা উচিত, এই সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়। জয়া-অমিতাভের দাম্পত্যের বয়স ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে। অভিজ্ঞ দিদিমা নাতনিকে সপাট জানান, ‘আমার কাছে খারাপ আচরণ, একটা রেড ফ্ল্যগ’। ‘খারাপ আচরণ’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন বচ্চন-জায়া?
জয়া বলেন, ‘একটা জিনিস যা আমি সত্যিই অপছন্দ করি তা হল যখন মানুষজন যখন সঙ্গীকে তুই-তাকারি করে বা তুমি বলে। যার সাথেই থাকুক না কেন।’ এরপর নাতনিকে সটান প্রশ্ন, ‘তুমি কি আমাকে কখনও তোমার দাদুকে তুমি সম্বোধন করতে শুনেছো? আমি মনে করি এই জিনিসগুলির জন্য সচেতন প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যা তোমার প্রজন্ম করে না। যতক্ষণ না তুমি কাউকে সম্মান করবে, ততক্ষণ কোনও ভালবাসা থাকবে না। সীমানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।
প্রসঙ্গত, জয়া বরাবরই অমিতাভকে ‘আপ’ (আপনি) সম্বোধন করেন। অমিতাভও স্ত্রীকে আপনি বলেই সম্বোধন করেন। মায়ের সুরে সুর মিলিয়ে শ্বেতাও বলেন, ‘সম্পর্কে সম্মান খুব জরুরি’।
বলিউডের অন্যতম আদর্শ দম্পতি অমিতাভ-জয়া। কেরিয়ারের মধ্যগগণে থাকাকালীনই ভালোবেসে অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন জয়া ভাদুড়ি। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ১৯৭৩ সালের ৩-রা জুন বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন বিগ বি ও জয়া। চটজলদি কেন বিয়ে সেরেছিলেন দুজনে? সেই কাহিনি গত সিজনে নভ্যার শো-তে ফাঁস করেছিলেন জয়া।
জঞ্জির ছবি হিট হলে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অমিতাভ-জয়ার। শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন অমিতাভের বাবা। বিয়ে করে তবেই একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া যাবে। তাই অক্টোবরের বদলে জুনেই চার হাত এক হয় তাঁদের। নভ্যার শো-তে জয়া এও জানিয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গেই অমিতাভ শর্তও বেঁধে দিয়েছিলেন। অভিষেক জননী বলেন, ‘আমি কলকাতায় শ্যুটিং করছিলাম। তখন দাদু (অমিতাভ) ফোন করল আর বলল একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা ঠিক করেছিলাম আমরা অক্টোবরে বিয়ে করব। কারণ ওই সময় আমার কাজের চাপ কম থাকবে। তবে আমি অবশ্যই এমন বউ চাই না যে ৯টা-৫টা কাজ করবে। হ্যাঁ, তুমি নিশ্চয় কাজ করবে। কিন্তু প্রত্যেক দিন নয়। সঠিক প্রোজেক্ট বাছতে হবে, এবং বুঝেশুনে মানুষজনের সঙ্গে কাজ করতে হবে তোমাকে’।
নায়িকা হিসাবে জয়ার কেরিয়ার শুরু হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’( ১৯৭১)-র সঙ্গে। অমিতাভের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি, যার মধ্যে অন্যতম ‘জঞ্জির’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘অভিমান’, ‘মিলি’, ‘শোলে’, ‘সিলসিলা’
(Feed Source: hindustantimes.com)