গতকালই মহারষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানকে দলে নিয়েছিল বিজেপি। আর আজ উত্তরপ্রদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রীকে দলে নিল গেরুয়া শিবির। আজই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন বিভাকর। আর দিনের দিন তিনি যোগ দিলেন বিজেপিতে। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের উপস্থিতিতে আজ লখনউতে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে দলে যোগ দেন বিভাকর শাস্ত্রী।
বিজেপিতে যোগদানের পরে বিভাকর শাস্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি অনুভব করি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, আমি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’-এর দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং দেশের সেবা করতে সক্ষম হব।’ উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০২৩ সালের অগস্টে দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা না পাওয়ায় অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই আবহে শেষ পর্যন্ত লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন।
এদিকে গতকালই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানকে দলে নিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল অশোক চহ্বানের। সম্প্রতি নির্মলা সীতারামনের শ্বেতপত্রেও সেই কেলেঙ্কারির উল্লেখ ছিল। তবে সেই অশোক চহ্বানই মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দেন। উল্লেখ্য, আদর্শ দুর্নীতি মামলায় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তৎকালীন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবার অভিজাত এলাকায় তৈরি হয়েছিল আদর্শ আবাসন। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ সেনাদের স্ত্রী ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই আবাসন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, অবৈধ ভাবে নিজেদের নামে সেই আবাসনে ফ্ল্য়াট নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মন্ত্রী-আমলারা।
২০১০ সালে প্রথম আদর্শ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান প্রভাব খাটিয়ে তাঁর তিন আত্মীয়কে জলের দরে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। চাপের মুখে পড়ে ওই বছরই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন অশোক। এই কেলেঙ্কারিতে মহারাষ্ট্রের আরও দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখ এবং সুশীল শিন্দের নামও জড়িয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ইডি এবং সিবিআই। এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো অশোকই গতকাল বিজেপিতে যোগ দেন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের অবস্থা এমনিতেই বেহাল। কয়েকদিন আগেই মিলিন্দ দেওরা এবং বাবা সিদ্দিকির মতো বড় নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন। মিলিন্দ যোগ দিয়েছেন একনাথ শিন্ডের শিবসেনায় আর বাবা সিদ্দিকি যোগ দেন অজিত পাওয়ারের এনসিপি-তে। এরই মাঝে এবার অশোক চহ্বান বিজেপিতে যোগ দিলেন। মনে করা হচ্ছে, অশোককে হয়ত রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে বিজেপি। যা নিয়ে সরব হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের কাজের পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না অশোক চহ্বান। এই আবহে তিনি দল ছাড়েন।
(Feed Source: hindustantimes.com)