জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফিরে এসেছে ১৪ শতকের ভয়াবহ ভাইরাস বুবোনিক প্লেগ। মানব দেহে মিলেছে বুবোনিক প্লেগ-র ভাইরাস। এবার আর চিন নয়, মার্কিন মুলুকেই হদিশ মিলেছে এই রোগের। ওরেগনের ওই আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও, তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিড়াল থেকেই এ রোগটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্ল্যাক ডেথ নামের এই মহামারি মধ্যযুগে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল।
ডেসচুটস কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, জেন্টামাইসিন এবং ফ্লুরোকুইনোলোনসের মতো সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে প্লেগের প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব, তবে বিবৃতি অনুসারে এই রোগটি মানুষের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
বুবোনিক প্লেগ নতুন রোগ নয়। মধ্য যুগে এই মারণ রোগেই ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই মহামারি ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামেও পরিচিত। অত্যন্ত বিরল এই রোগ। মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ দেহে প্রবেশের আট দিন বাদে উপসর্গ দেখা যাবে। পশু বা মাছি থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। বুবোনিক প্লেগের অন্যতম উপলক্ষ হল জ্বর, শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা, শরীরে শিহরণ ও পেশিতে ব্যথা।
ইয়ার্সিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটিরিয়া থেকে এই প্লেগ হয়। সেই ব্যাকটিরিয়া মাছি বা এঁটুলির সংস্পর্শে এসে ছড়াতে পারে। ইঁদুর বা কাঠবিড়ালির মতো সংক্রমিত প্রাণীকে যদি বিড়াল খায়, সেখান থেকে বিড়ালটি আক্রান্ত হতে পারে। প্লেগের অন্যতম উপসর্গ হল জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শরীরে শিহরণ ও পেশিতে ব্যথা হওয়া। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে বুবোনিক প্লেগ সেপ্টিসেমিক প্লেগেও পরিণত হতে পারে।
(Feed Source: zeenews.com)