‘থাকতে চান না রাজনীতিতে’, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমি চক্রবর্তীর

‘থাকতে চান না রাজনীতিতে’, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমি চক্রবর্তীর

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty Resigns)। এখনও পর্যন্ত ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ব্যস্ততার কারণে আর প্রার্থী হতে চান না, থাকতে চান না রাজনীতিতেও, জানান অভিনেত্রী। সংসদের দুটি কমিটি থেকে ইস্তফার পরই মিমি-কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা মিমির

লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। দুদিন আগেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। আজ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে এসে মিমি চক্রবর্তী দেখা করেন। এরপরই জানা যাচ্ছে, যে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার কথা জানান তিনি। তবে এখনও সেই পত্র গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, খবর এমনই। দু-একদিনের মধ্যেই লোকসভার স্পিকারকেও সেই ইস্তফাপত্র পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

কিন্তু ভোটের আগে কেন ইস্তফা দিলেন তারকা সাংসদ, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই এখন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াতেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, আজ সরাসরি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী। এক্ষেত্রে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে। মিমি চক্রবর্তী নিজেও দাবি করেছেন, কাজ করতে গিয়ে তাঁকে বাধা পেতে হয়েছে বলে, পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখেও। অভিযোগ সেই সমালোচনা কেবলমাত্র বিরোধীদের থেকেই নয়, এসেছে দলের একাংশের থেকেও। শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে দুটো কথা জানিয়ে এসেছেন মিমি, প্রথমত তিনি আর ভোটে দাঁড়াতে চান না, দ্বিতীয়ত তিনি আর রাজনীতিতেই থাকতে চান না। তবে এই পদত্যাগের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এখনও কোনও ইতিবাচক উত্তর আসেনি বলেই খবর।

অন্যদিকে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি খবর মেলে, ভাঙড়ের দুটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন ছিলেন মিমি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ভাঙড়ের দুটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে তাঁর ইস্তফা ঘিরে তৈরি হয় জল্পনা।

(Feed Source: abplive.com)