১৯ বছরেই আমিরের পর্দার মেয়ের মৃত্যু! ‘তোমাকে ছাড়া দঙ্গল অসম্পূর্ণ’,জানাল সংস্থা

১৯ বছরেই আমিরের পর্দার মেয়ের মৃত্যু! ‘তোমাকে ছাড়া দঙ্গল অসম্পূর্ণ’,জানাল সংস্থা

অকালেই ঝড়ে গেল একটা তরতাজা প্রাণ। মাত্র ১৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে আমিরের ‘দঙ্গল কন্যা’ সুহানি ভাটনাগার। পা ভেঙেছিল। কিন্তু সেই পা ভাঙা কারুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বিশ্বাসই হচ্ছে না কারুর! ভারতীয় ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি দঙ্গলের অংশ সুহানি। কিশোরী বয়সের ববিতা ফোগাটের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। জাইরা এবং সুহানি ছিলেন এই ছবির প্রাণ ভ্রমরা।

দুই কিশোরির অভিনয় গুণে মুগ্ধ হয়েছিলেন আমির। দঙ্গল মুক্তির আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘যদি ছবিতে আমাদের পারফরম্যান্সকে রেট করি, তাহলে বলব এই বাচ্চা দুটো আমার থেকে দশগুণ ভালো অভিনয় করেছে। বিশ্বাস করুণ এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু এঁরা সত্যিই ট্যালেন্টেড’।

আট মাসের অধ্যাবসায়ের পর জাইরা ও সুহানিকে কিশোরি গীতা ও ববিতা ফোগাটের চরিত্রের জন্য বেছেছিল আমিরের সংস্থা। নীতিশ তিওয়ারি পরিচালিত এই ছবিতে ববিতার কিশোরী বয়সের চরিত্রের জন্য কমপক্ষে ১১০০০ হাজার মেয়ের অডিশন নিয়েছিল মুকেশ ছাবরার কাস্টিং এজেন্সি। তার মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুহানি। সহজ ছিল না সফর। তবে সব পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া এই কন্যে জীবনযুদ্ধে হার মানল শুক্রবার।

কী কারণে মৃত্যু হয়েছে এই তরতাজা প্রাণের? পিটিআই-কে প্রয়াত অভিনেত্রীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, শুক্রবার AIIMS-এ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ফরিদাবাদের এই কন্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাননি তিনি। সূত্রের খবর, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয় সে, এবং ১৬ তারিখ মৃত্যু হয়েছে সুহানির। কিছুদিন আগেই নাকি পা ভেঙেছিল সুহানির। সেই চিকিৎসার জন্য বেশিকিছু ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। সেই ওষুধের ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে সুহানির শরীরে তরল পদার্থ জমা হতে শুরু করে। আর সেটাই নাকি সুহানির এই অকাল মৃত্যুর কারণ। গোটা ঘটনায় উঠছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। তবে সুহানির পরিবারের তরফে এখনও কোনওরকম বিবৃতি দেওয়া হয়নি বা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সন্তানশোকে জর্জরিত তাঁরা।

এদিন সুহানির মৃত্যুর পরে আমির খান প্রোডাকশনসের পক্ষ থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সুহানির মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মা পূজাদেবী ও গোটা পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। অসামান্য এক প্রতিভা, কী দারুণ টিম একজন টিম প্লেয়ার, সুহানিকে ছাড়া ‘দঙ্গল’ হতই না। সুহানি, তুমি সবসময় আমাদের মনের মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকে। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ আমির খানের মেয়ে ইরাও এই খবরে বিস্মিত। সোশ্যল মিডিয়ায় ইনঅ্য়াক্টিভ আমির এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।

(Feed Source: hindustantimes.com)