Find The Hidden Tiger: সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে বাঘের এক ছবি! আসলে যেমন তেমন ছবি তো নয়, এ হল এক অপটিক্যাল ইলিউশন, যেখানে নেটিজেনদের দ্বিতীয় লুকনো বাঘটি খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। বলা বাহুল্য, ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে এই বাঘটি। বেশিরভাগ মানুষই এক নজরে সামনে থাকা প্রথম বাঘটিকে সহজেই দেখছেন তবে ছবিটিতে দ্বিতীয় বাঘকে খুঁজে বের করতে গিয়ে নাকানিচোবানি অবস্থা। এর মূল কারণ হল, নেটিজেনরা বাঘের পিছনের দৃশ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দ্বিতীয় বাঘ খোঁজার চেষ্টা করছে, আসলে বাঘটি কিন্তু রয়েছে চোখের সামনেই।
ভালো করে প্রথম বাঘটির দিকে তাকান, উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তার মধ্যেই! আসলে এই বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগের মধ্যেই রয়েছে ‘দ্য হিডেন টাইগার’ লেখাটি। ছবিতে বাঘের সামনের পা, শরীর এবং পিছনের পা খুঁটিয়ে দেখলেই যে কেউ ‘দ্বিতীয় বাঘ’ খুঁজে পেয়ে যাবেন।
If you spot the second tiger in this optical illusion you’re in the top 1%
Don’t give it away. Like if you spot it. pic.twitter.com/V9G4rcmQYu
— Let’s Fookin’ Gooooo!!! (@bitcoininvestr) June 7, 2022
অপটিক্যাল ইলিউশন আধুনিক ইন্টারনেট সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। সোশ্যাল মিডিয়াতে নানান অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবি শেয়ার করা হয় এবং তা নিয়ে মাথা খাটিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েন নেটিজেনরা। এই অপটিক্যাল ইলিউশনগুলির জন্য একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে৷ প্রতি বছর একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন হয় সেখানে। ‘বছরের সেরা ইলিউশন প্রতিযোগিতা’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিভ্রম এবং উপলব্ধিকে উদযাপন করতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। এই ওয়েবসাইটে আরও বনা হয়েছে, “ভিজ্যুয়াল সায়েন্টিস্ট, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলজিস্ট এবং শিল্পীরা মিলেই ইলিউশন কমিউনিটি তৈরি করে।”
প্রতিযোগিতাটি একটি অলাভজনক সংস্থা নিউরাল কোরিলেট সোসাইটির উদ্যোগ, যার লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে “উপলব্ধি এবং জ্ঞানের স্নায়ু সম্পর্কিত বিষয়কে” প্রচার করা। তাদের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সংস্থাটি “পারসেপশন সায়েন্টিস্ট, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নিউরোলজিস্ট এবং শিল্পীদের সম্প্রদায়কে নিয়ে গঠিত যারা অলীক উপলব্ধির ভিত্তি আবিষ্কার করতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন।”