সন্দেশখালির ৪টি জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হল ১৪৪ ধারা

সন্দেশখালির ৪টি জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হল ১৪৪ ধারা

সমীরণ পাল, সন্দেশখালি: সন্দেশখালির (Sandeshkhali Update) ৪টি জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হল ১৪৪ ধারা। ১৯টি জায়গার মধ্যে ৪টি জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হল ১৪৪ ধারা।

তুলে নেওয়া হল ১৪৪ ধারা: সন্দেশখালির মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালের ঘাট, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর বেরমজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুর ও পুলেপাড়া থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হল। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমে সন্দেশখালিজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বসিরহাটের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবটা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। হাইকোর্ট তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, ১৪৪ ধারা খারিজ করে দেয়।  কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর, সন্দেশখালিতে কৌশল বদলানো হয়। এলাকা চিহ্নিত করে বাছাই করা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকেরই ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

গত মঙ্গলবার সন্দেশখালি মামলার শুনানিপর্বে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেছিলেন, “গোটা সন্দেশখালি জুড়েই কি উত্তেজনা রয়েছে যে, গোটা অঞ্চলে ১৪৪ ধারা? ২-৩টে অঞ্চলে হলে বোঝা যেত। এরপর তো বলবেন গোটা কলকাতা জুড়েই ১৪৪ ধারা। নির্দিষ্ট করে কোন এলাকায় গন্ডগোল হচ্ছে বা কতটা অঞ্চল জুড়ে উত্তেজনা রয়েছে সেটা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা নেই।’’ পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে বিচারপতি বলেছিলেন, “১৪৪ ধারা জারির আগে আরও ভালভাবে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা উচিত ছিল। আরও যত্ন নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’’ এরপরই ১৪৪ ধারা খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯টি জায়গায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এবার সংশ্লিষ্ট ১৯ জায়গার মধ্যে ৪ টি অঞ্চল থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হল।

(Feed Source: abplive.com)