‘বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল’ BJPর জাতীয় বৈঠকে সন্দেশখালি নিয়ে গর্জে উঠলেন শাহ

‘বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল’ BJPর জাতীয় বৈঠকে সন্দেশখালি নিয়ে গর্জে উঠলেন শাহ

নয়াদিল্লি: সারা বাংলা তোলপাড়। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির বেতাজবাদশা ও তার সঙ্গী শাকরেদদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সেখানকার নারীদের একটা বড় অংশ। উত্তম সর্দারের পর অবশেষে গ্রেফতার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরাও। এরই মধ্যে অশান্ত সন্দেশখালির মানুষের কাছে পৌঁছতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন বিরোধীরা। নাড্ডার পাঠানো বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও ফিরে যেতে হয়েছে রামপুর থেকে। সেখান থেকেই সন্দেশখালির মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও-কলে কথা বলেছেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। তার আগেই সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সুকান্ত মজুমদারকে। শনিবারই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন দিল্লিতে।

তারপর রবিবারই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন অমিত শাহ। বিজেপির ন্যাশনাল কনভেনশনে শাহর মুখে শোনা গেল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রস্তাব আনেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে’। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করেন অমিত শাহ।

বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রত্যয়ী কণ্ঠে শাহ বলেন, আবারও দেশের মানুষ ভরসা রাখবেন মোদিতেই। তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে মোদি সরকার। তিনি বলেন, ‘মোদিজি দেখিয়েছেন, কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন একসঙ্গে সম্ভব। দেশের অর্থনীতি ১১ নম্বর থেকে ৫ নম্বরে এসে গেছে। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে, দেশের অর্থনীতিও ৩ নম্বরে চলে আসবে। ‘

ফের একবার পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে কংগ্রেসের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট ও কংগ্রেস দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে। দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, জাতপাতের রাজনীতি করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। মোদিজি দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, জাতপাতের রাজনীতি শেষ করেছেন। এবারের ভোটে দুই মেরু স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। একদিকে মোদিজির নেতৃত্বে এনডিএ, অন্যদিকে পরিবারবাদী পার্টির জোট ইন্ডিয়া জোট। দেশে দুর্নীতির জনক কংগ্রেস’

তিনি আরও বলেন, ‘মোদিজির লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়া। সনিয়া গাঁধীর লক্ষ্য রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা। বিজেপি পরিবারবাদী দল হলে, চা-ওয়ালার ছেলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না’

(Feed Source: abplive.com)