ব্যাগভর্তি ভোটার কার্ড উদ্ধার, লোকসভা নির্বাচনের আগে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

ব্যাগভর্তি ভোটার কার্ড উদ্ধার, লোকসভা নির্বাচনের আগে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: লোকসভা ভোটের (Loksabha Election 2024) আগে ভোটার কার্ড নিয়ে চাঞ্চল্য নদিয়ার চাকদায়। তাতলা ১ পঞ্চায়েতের মিত্রপুকুর এলাকায় ঝোপের মধ্যে উদ্ধার হল ব্যাগভর্তি ভোটারকার্ড ও ভোটের নানা জিনিস। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে ভয় পেয়ে রিগিং-এর জন্য ছিনিয়ে নেওয়া কার্ডগুলি ফেলে দিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কার্ডগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন।

ভোটার কার্ড উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য: রাজ্য সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে উদ্ধার হল ব্যাগভর্তি ভোটার কার্ড। রাস্তার পাশে পড়ে আছে ভোটের জিনিসপত্র, সিডি। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে এলেন, পুলিশ ও বিডিও অফিসের আধিকারিকরা। সিজ করা হল ভোটার কার্ড। ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার চাকদা ব্লকের তাতলা ১ পঞ্চায়েতের মিত্রপুকুর এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঝোপের মধ্যে কয়েকটি ব্যাগের মধ্যে শয়ে শয়ে ভোটার কার্ড পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ওই এলাকার বাসিন্দা মৃণালিনী সরকার বলেন, “আমি ছাগল চরাচ্ছিলাম। দেখি, ২ বস্তায় আই কার্ড এখানে ফেলানো। ওদিকে দেখি, চটের ব্যাগে। তারপর এখানকার একটা লোক সাইকেলে যাচ্ছিল, বললাম, দেখ কত আই কার্ড। এগুলো পাওয়া যায় না। কারা ফেলেছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাস দুয়েক আগে রাজ্য সড়কের পাশে একটি ঘর ভাড়া নেন কয়েকজন যুবক। সেখানে বিভিন্ন নথি এবং কাগজপত্র জমা করতেন তাঁরা। ওই ভাড়া বাড়ির পাশেই ঝোপের মধ্যে উদ্ধার হয় ভোটার কার্ডগুলি। ভাড়াটিয়া যুবক প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, এগুলি সবই বাতিল জিনিস। বৈধভাবে কিনেছেন সরকারি দফতর থেকে। তাঁর দাবি, “জ্বালিয়ে দেওয়া হয়নি। ভোটার কার্ডটা এখানে রাখা রয়েছে। এগুলো ডেসট্রয় মাল। এগুলো এই জায়গাটায় জ্বালানোর জন্য ওয়েস্টেজ। এগুলো আমাদেরও চলে না। এগুলো পুরোপুরি বাতিল মাল।’’

খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাকদা থানার পুলিশ ও বিডিও অফিসের আধিকারিক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ব্যাগ ভর্তি ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুরনো, বাতিল কার্ড হলেও তা এভাবে কেন বিক্রি করে দেওয়া হল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “TMC-র স্থানীয় গুন্ডারা নির্বাচনের আগে ভোটারদের কার্ড ছিনিয়ে নেয়, ভোটে কারচুপি করার জন্য। আমার মনে হয়, সন্দেশখালি বিদ্রোহের পর তারা ভয় পেয়ে গিয়েছে। চাকদার লোকেরাও তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হলে কী হবে! এই ভয়ে কার্ডগুলি ফেলে দিয়েছে।”

(Feed Source: abplive.com)