Suchitra Sen: এই প্রথম! বিদেশের মাটিতে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব…

Suchitra Sen: এই প্রথম! বিদেশের মাটিতে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউ ইয়র্কের মাটিতে এই প্রথম রিনা ব্রাউন! এই প্রথম বিদেশের মাটিতে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ‘বিদেশের মাটি’ মানে একেবারে খোদ আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আয়োজিত হতে চলেছে এই চলচ্চিত্র উৎসব।

এই সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কথা শনিবারই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে চলেছে বাঙালির অতি প্রিয় নায়িকা সুচিত্রা সেনের এই চলচ্চিত্র উৎসব। সুচিত্রা সেনের নামে এই চলচ্চিত্র উৎসবের কথা ঢাকার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়। টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) এবং বাংলাদেশের সিনেমা জগতের নায়ক তথা সদ্য রাজনীতির ময়দানে নামা ফিরদৌস আহমেদ (Ferdous Ahmed) সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কেন সুচিত্রাকে নিয়ে এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভাবনা? জানা গিয়েছে, পাবনায় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি। সেই বাড়ির স্মৃতি ও এই অভিনেত্রীর প্রতি বাঙালির আবেগর জায়গা থেকেই এই আন্তর্জাতিক উৎসবের উদ্যোগ। পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে বাংলা ছবিকে ছড়িয়ে দেওয়াও এর লক্ষ্য। বাংলা ছবির বিশ্বায়ন এর উদ্দেশ্য। বিদেশে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক তৈরি করাও রয়েছে এর লক্ষ্যের মধ্যে। বিদেশে বাঙালি চলচ্চিত্রকর্মীদের স্বীকৃতি এবং প্রবাসী চলচ্চিত্রকর্মীদের সঙ্গে আমেরিকার মূলধারার চলচ্চিত্রকর্মীদের সেতুবন্ধনের জরুরি কাজটিও করবে এই ধরনের উৎসব।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যান অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তখনই জানা গিয়েছিল, সুচিত্রা সেনের স্মরণে আগামী এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজন করা হবে ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব।’ জানা গিয়েছে, সুচিত্রা সেনকে নিয়ে এই ছবি-উৎসবের জন্য ইতিমধ্যেই মহানায়িকা-অভিনীত ছবি বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। সেই দিন পর্যন্ত ছবি জমা দেওয়া যাবে।

সুচিত্রা সেনই প্রথম বাঙালি তথা ভারতীয় অভিনেত্রী তথা নায়িকা যিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলেন। ষাটের দশকেই তিনি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে তাঁর অসামান্য অভিনয়ের জন্য মস্কোর এক চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই তিনি বাংলাছবির আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী। তাঁর সময়ে অনেকের এই সৌভাগ্য অর্জন ঘটেনি। আর এই বিরল অর্জনটি তাঁর বাংলা তথা ভারতীয় ছবির তথাকথিত ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বলতে যাঁদের বোঝায় সেই সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের সঙ্গে কাজ করে নয়। ছবিটি অজয় করের পরিচালিত। অজয় করও যথেষ্ট উন্নত মানের ছবি বানাতেন সে সময়ে। তবে তাঁকে কখনই ওই ত্রয়ীর বর্গে ফেলা হয়নি। কেননা, সেই সময়ে অন্য ধারার ছবি করে দেশের চলচ্চিত্রকে ক্রমশ বিশ্বের দুনিয়ায় তুলে ধরার কঠিন ও পথিকৃৎ-সম কাজটি করছিলেন মূলত ওই তিনজনই। সেই জায়গায় একেবারেই বাংলা মূলধারার এক ছবি-করিয়ের সঙ্গে একেবারেই মেনস্ট্রিম এক বাংলা ছবিতে অভিনয় করে এই স্বীকৃতি আদায় করা যথেষ্ট কঠিন ও প্রথাভাঙা ছিল। যে কঠিন কাজটি সুচিত্রা করে দেখিয়েছিলেন। আর মৃত্যুর পরেও আর একবার তিনি পথিকৃৎ-সম কাজের অংশ হয়ে রইলেন। কেননা, এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ভারতের কোনও নায়িকার চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজিত হতে চলেছে।

(Feed Source: zeenews.com)