নন্দিতা-শিবপ্রসাদের সঙ্গে প্রথম কাজ কৌশানীর, আবীর-ঋতাভরী জুটির ছবি মুক্তি পুজোয়

নন্দিতা-শিবপ্রসাদের সঙ্গে প্রথম কাজ কৌশানীর, আবীর-ঋতাভরী জুটির ছবি মুক্তি পুজোয়

তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: ‘রক্তবীজ’ (Roktobeej)-এর পরে ফের আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)-কে নিয়ে পুজোর ছবি পরিকল্পনা করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboproshad Mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy)। প্রথমবার থ্রিলার জ়ঁরে পা রেখেই কার্যত ছক্কা মেরেছিলেন তাঁরা। আর এবারের পুজোর ছবিও থ্রিলারধর্মী। সত্যঘটনা অবলম্বনে। ছবির নাম, ‘বহুরূপী’।

এই ছবিতে ‘উইন্ডোজ’ (Windows) ফেরাচ্ছে তার ‘ফাটাফাটি’ জুটিকে। এই ছবিতে আবীরের বিপরীতে দেখা যাবে ঋতাভরী চক্রবর্তীকে (Ritabhari Chakraborty)-কে। এছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন, কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। পরিচালনার পাশাপাশি, অভিনেতা হিসেবেও পাওয়া যাবে শিবপ্রসাদকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এই প্রথম অভিনেতা শিবপ্রসাদের ছবি মুক্তি পাবে পুজোয়।

সত্যঘটনা নির্ভর এই ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। তৎকালীন সমাজে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার ওপর কেন্দ্র করেই এই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। শিবপ্রসাদ জানাচ্ছেন, শুধু সিনেমা নয়, তৈরি করা হচ্ছে একটি তথ্যচিত্রও। যাঁরা এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী, তাঁরা এখনও জীবিত। অনেকেই সশরীরে জবানবন্দী দিয়েছেন, সাহায্য করেছেন ছবির চিত্রনাট্য নির্মাণে। সেই সমস্ত মুহূর্তকেও ফ্রেমবন্দি করে রাখা হচ্ছে তথ্যচিত্রের জন্য।

‘বহুরূপী’ নিয়ে শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘মুক্তধারা ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই এই বিষয়টা নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা হয়েছিল। সেটা বাস্তবায়িত হতে সময় লাগল ১১ বছর। পশ্চিমবঙ্গের বুকে ক্রমান্নয়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। আবীরের সঙ্গে এটা আমাদের দ্বিতীয় ছবি। ওকে ‘প্রিন্স অফ পুজো’ বলতে পারি। এর আগে ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’, তারপরে ‘রক্তবীজ’ হিট হয়েছে পুজোতেই। পুজোর সময় আবীরের থ্রিলারধর্মী সিনেমা মানেই একটা বিশেষ আকর্ষণ। ঋতাভরীর সঙ্গে পরিচালক হিসেবে এটা আমাদের প্রথম কাজ। ‘ফাটাফাটি’-র সুপারহিট জুটিকে ফিরিয়ে আনা কর্তব্য বলেই মনে হয়েছিল।’

এই প্রথম ‘উইন্ডোজ’ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন কৌশানী। শিবপ্রসাদ বলছেন, ‘আমরা খুব ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এমন অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে আমাদের কাজ করা হয়নি কিন্তু তাঁদের অভিনয় আমাদের মুগ্ধ করেছে এবার তেমন মানুষদের সঙ্গেই কাজ করব। ‘আবার প্রলয়’ ছবিতে কৌশানী দুর্দান্ত কাজ করেছে। আশা করছি, এই ছবিতে কৌশানী যে চরিত্রে অভিনয় করবে তা মানুষের মনে দাগ কাটবে। আর অভিনেতা হিসেবে আমি নন্দিতা রায়ের কাছে ঋণী। একই বছরে উনি আমায় দুটি ছবিতে, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিলেন। অভিনেতা হিসেবে জীবনে প্রথমবার আমার ছবি পুজোয় রিলিজ করবে।’

এই ছবি তাঁদের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি বলে জানাচ্ছেন শিবপ্রসাদ। যেখানে বর্তমানে বাংলা ছবির শ্যুটিং ১৫ থেকে ২০ দিনে শেষ হয়ে যায়, সেখানে এই ছবির শিডিউল রয়েছে মোট ৪০ দিনের। এই সিনেমার লোকেশনের ক্ষেত্রেও রয়েছে একটা বিশেষত্ব। ছবির নাম ‘বহুরূপী’, আর যে সমস্ত লোকেশনে শ্যুটিং হওয়ার কথা, তার প্রত্যেকটির আদ্যক্ষর ‘ব’। যেমন বানতলা, ব্যারাকপুর, বেলডাঙা, বোলপুর, বহরমপুর, বেথুয়াডহরি.. ইত্যাদি। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মোট ৭৮টি লোকেশনে শ্যুটিং হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে, পুজোয় আসছে ‘বহুরূপী’।

(Feed Source: abplive.com)