হৃৎপিণ্ডে একটি মোক্ষম ঘুষি, সাবেক KGB-র চেনা কৌশল মেনেই কি ‘খুন’ নাভালনি?

হৃৎপিণ্ডে একটি মোক্ষম ঘুষি, সাবেক KGB-র চেনা কৌশল মেনেই কি ‘খুন’ নাভালনি?

নয়াদিল্লি: হৃৎপিণ্ডে একটি মোক্ষম ঘুষি, তাতেই সব শেষ! সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গুপ্তচর সংস্থা ‘কেজিবি’-র’ একেবারে ‘সিগনেচার’ খুনের কৌশল। সেই কৌশল ব্যবহার করেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করলেন এক মানবাধিকার কর্মী। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাইবেরিয়ার জেলে বন্দি থাকাকালীন মারা যান নাভালনি। তার পর থেকে তুঙ্গে বিতর্ক। যদিও রুশ প্রশাসনের দাবি, এই মৃত্য়ু ‘স্বাভাবিক।’

প্রশ্ন যেখানে…
নাভালনির পরিবার ও সহযোগীদের প্রশ্ন, তা-ই যদি হবে, তা হলে তাঁর দেহ ফেরাতে কেন এত দিন ধরে টালবাহানা করছিল রুশ প্রশাসন? উত্তর সাইবেরিয়ার যে জেলে পুতিন সমালোচকের মৃত্যু হয়, তার সবচেয়ে কাছের শহর, সালেখার্দ-এ পৌঁছে গিয়েছেন মৃতের মা ল্যুডমিলা নাভালনয়া। সহযোগীদের অভিযোগ, ল্যুডমিলার হাতে ছেলের দেহ তুলে দেওয়া নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে বিস্তর টালবাহানা করেছে প্রশাসন। এও শোনা যাচ্ছে যে তদন্তকারীরা গোপনে নাভালনির ‘শেষকাজ’ সেরে ফেলতে চাপ দিচ্ছিলেন। সেই শর্তে রাজি হলেই দেহ ছাড়ার কথা বলা হয় নাভালনির মাকে। মৃতের সহযোগীদের প্রশ্ন, যদি কোনও কিছু এদিক-ওদিক না-ই হয়ে থাকবে, তা হলে এত রকম সমস্যা কেন? এখান থেকেই আরও জোরালো হয়েছে হত্যার নানা তত্ত্ব।
ভ্লাদিমির ওসেখচিন নামে এক মানবাধিকার কর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হৃৎপিণ্ডে মোক্ষম ঘুষি মেরেই খুন করে ফেলা হয় নাভালনিকে। নির্মমতার শুরুটা যদিও আগেই হয়েছিল। তাঁর দাবি, ৪৭ বছরের পুতিন-বিরোধীর দেহ যাতে দুর্বল হয়ে পড়ে, সে জন্য উত্তর সাইবেরিয়ার ভয়ঙ্কর শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হত তাঁকে।  ওসেখচিনের কথায়, ‘এর ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার পর কাউকে খুন করা এমনিতেই সহজ হয়ে যায়। আর প্রশিক্ষিত কেউ থাকলে তো কথাই নেই।’

আর যা…
অসমর্থিত সূত্রে খবর, নাভালনির দেহে আঘাতের চিহ্ন-ও ছিল। ওই মানবাধিকার কর্মীর মতে, কেজিবি-র স্পেশ্যাল ফোর্সেস ডিভিশনের ‘সিগনেচার’ ছিল এই হত্যাকৌশল। এজন্য ঘাতকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত যাতে হৃৎপিণ্ডে একটা ঘুষির চোটেই ধরাশায়ী হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। নাভালনির সঙ্গে সত্যিই এমন হয়েছিল কিনা, তা জানা নেই। তবে এদিন বিস্তর বিতর্ক, তুমুল সমালোচনার পর তাঁর দেহ মায়ের হাতে তুলে দেয় প্রশাসন। যদিও শেষকৃত্য কবে, কোথায় বা কী ভাবে হবে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। বাড়ছে ধোঁয়াশা, লম্বা হচ্ছে প্রশ্নের তালিকা। উত্তর মিলবে কি?

(Feed Source: abplive.com)