রাজ্যসভা নির্বাচনে গড়াপেটার অভিযোগ, তার মধ্যেই হিমাচলে সঙ্কট কংগ্রেসের, বিধায়ক ভাঙাল BJP?

রাজ্যসভা নির্বাচনে গড়াপেটার অভিযোগ, তার মধ্যেই হিমাচলে সঙ্কট কংগ্রেসের, বিধায়ক ভাঙাল BJP?
নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এক বছর হয়েছে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই হিমাচলপ্রদেশই হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় তাদের। মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচন ঘিরে যখন চরম তৎপরতা, গড়াপেটার অভিযোগ উঠছে, সেই সময়ই হিমাচলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল BJP-র বিরুদ্ধে। CRPF-কে পাহারায় রেখে ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে BJP হরিয়ানায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। (Rajya Sabha Elections 2024)

মঙ্গলবার এমনিতেই রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন চরমে।  ভোটাভুটি চলাকালীন, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি-সহ বেশ কিছু বিরোধী দল থেকে ভোট BJP-তে চলে গিয়েছে বলে খবর। সেই আবহেই হিমাচলপ্রদেশ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু BJP-র বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। (Himachal Pradesh Assembly)

অবশ্য হিমাচলপ্রদেশে কিছু যে ঘটছে, তা মঙ্গলবার সকালেই টের পাওয়া গিয়েছিল। রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলেও জানায় তারা। রাজ্যসভার ভোটাভুটিতেও তাদের সপক্ষে ছয় কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয় BJP, তার পর বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়।

মুখ্যমন্ত্রী সুখুর অভিযোগ, রাজ্যসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই CRPF এবং হরিয়ানা পুলিশের কনভয় তাঁদের পাঁচ-ছ’জন বিধায়ককে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যায়। সুখু বলেন, “যাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি আমরা। তাঁদেরকেও বসছি, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চিন্তার কোনও কারণ নেই।” হরিয়ানার পঞ্চকুলার একটি রিসর্টে কংগ্রেস বিধায়কদের রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিমাচলপ্রদেশ থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, যাঁর জয় একরকম নিশ্চিতই ছিল। BJP-র হর্ষ মহাজনের কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি। এর জন্য যদিও গড়াপেটাকেই দায়ী করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে অভিষেক হর্ষকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “হর্ষকে মহাজনকে অভিনন্দন জানাই। উনি জয়ী হয়েছেন। আমি শুধু ওঁর দলকে একটি কথাই বলতে চাই, আয়নায় নিজেদের দেখুন। এক নৈশভোজেই মানুষ পাল্টে যায় ভাবলে, তা মূর্খের দুনিয়ায় বাস করার সমান।”

মাত্র এক বছরের সরকার পড়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে সুখু বলেন, “বিধানসভার অধিবেশনে দেখব কোন দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। যাঁরা ভোট কেনাবেচা করেছেন, পরিবারের লোকের প্রশ্নেরই সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবারের যেখানে প্রশ্ন করছেন, নিশ্চয়ই ‘ঘর ওয়াপসি’র কথা ভাববেন ওঁরা।” রাজ্যসভায় সিঙ্ঘভির হার নিয়ে বলেন, “কেউ যদি বিবেকবোধ বিক্রি করে দিয়ে থাকেন…ন’জনের ভোট হাতবদল হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন নির্দল, কিন্তু আমাদের ছয় জন বিবেকবোধ বিক্রি করে দিয়েছেন, সিঙ্ঘভির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।”

৬৮ আসনের হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০।  তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও ছিল। অন্য দিকে, BJP জয়ী হয় ২৫টি আসনে। তাই ন’জনের সমর্থন হারালে কংগ্রেসের শক্তি ৩১-এ নেমে যাবে, যেখানে সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫।  আরও এক জনের সমর্থনের আদায় করতে হবে BJP-কে, যা তাদের পক্ষে সহজ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

(Feed Source: abplive.com)