Sweden's Nato Membership: নতুন ন্যাটো-সদস্য! এবার ব্রিটেন আমেরিকা জার্মানি ফ্রান্সের সঙ্গে একাসনে সুইডেনও…

Sweden's Nato Membership: নতুন ন্যাটো-সদস্য! এবার ব্রিটেন আমেরিকা জার্মানি ফ্রান্সের সঙ্গে একাসনে সুইডেনও…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অন্য অনেকরকম কারণের মধ্যে ন্য়াটো-ভুক্ত হওয়া নিয়েও ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে ঝামেলা বাধে। যা আজও চলছে। আর এরই মধ্যে ২০০ বছরের নিরপেক্ষতার ইতিহাস পরিত্যাগ করে সুইডেন ন্যাটোভুক্ত দেশ হতে চলল।

পশ্চিমের সামরিক জোট ন্যাটো’র সদস্য হতে সুইডেনের সামনে সর্বশেষ বাধা ছিল হাঙ্গেরি। সেই বাধা অবশেষে দূর হল। ভোটাভুটির পর সোমবার হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট সুইডেনের ন্যাটোভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবটি এবার হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি স্বাক্ষর করলে ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হতে সুইডেনকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাঠানো হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হতে দিনকয়েক সময় লাগবে।

সুইডেন দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষতার নীতি মেনে চলছিল। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে ২০২২ সালে সুইডেন ওই নীতি পরিত্যাগ করে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করে। ন্যাটো’র নিয়ম হল, সদস্যভুক্ত কোনও দেশ আক্রমণের শিকার হলে সদস্যদেশগুলি একযোগে আক্রান্ত দেশটির পাশে এসে দাঁড়াবে। নিজেদের সুরক্ষায় নিশ্চয়তা আনতেই সুইডেন ন্যাটো’র প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

তবে ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশ ন্যাটো’র সদস্য হতে চাইলেই তাকে সাদরে সদস্য করে ফেলা যায় না। এক্ষেত্রে ন্যাটো’র নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সব সদস্যদেশের অনুমোদন না পেলে কেউ জোটের সদস্য হতে পারবে না। আর এই নিয়মের বেড়াজালেই ঝুলে যায় সুইডেনের ভাগ্য। কেননা, সুইডেনের ন্যাটো-ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি তোলে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি। যদিও পরে আপত্তি তুলে নেয় তুরস্ক।

ছিল বাকি হাঙ্গেরি। এবার হাঙ্গেরি পার্লামেন্টও সুইডেনের ন্যাটো-ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি তুলে নিল। আর হাঙ্গেরির অনুমোদন পাওয়ার ফলে সুইডেনের সামনে থেকে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সব বাধা কেটে গেল। গত সপ্তাহেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এখন দুই দেশ (হাঙ্গেরি ও সুইডেন) একে অন্যের জন্য মরতেও প্রস্তুত। আর হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন!

(Feed Source: zeenews.com)