France: যুগান্তকারী! গর্ভপাত এখন মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার, নারীর শরীর নারীরই…

France: যুগান্তকারী! গর্ভপাত এখন মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার, নারীর শরীর নারীরই…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নারীর ক্ষমতায়নের চূড়ান্ত? প্রায় তাই-ই। আর সেটা ঘটল, সেটা করে দেখাল ফ্রান্স। সেখানে সম্প্রতি নেওয়া হল যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত। এবার গর্ভপাতের অধিকার সুরক্ষিত হল মহিলাদের। এর অর্থ, এবার মহিলারাই গর্ভপাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। গতকাল, সোমবারই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। এবং ফ্রান্সই বিশ্বে প্রথম দেশ, যেখানে গর্ভপাতের অধিকারকে এইভাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হল।

গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সোমবারই ফ্রান্সের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ভোটাভুটি হয়। গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৭৮০টি, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭২টি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এরপর এটি স্বীকৃত হতে কোনও সমস্যাই তৈরি হয় না। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট গর্ভপাত সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে দিল। গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটার বলেন, ‘বিশ্বে এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আমরা সমস্ত মহিলাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি, আপনার শরীর আপনারই এবং কেউ আপনার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না!’

আর গর্ভপাত ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরই উল্লাসে মেতে ওঠেন সেদেশের নারীসমাজ, উল্লাসে মত্ত হন প্যারিসের মহিলারা। সোমবার সন্ধ্যাতেই প্যারিসের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা আইফেল টাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। শুধু ফ্রান্সের মহিলারা কেন? ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর ওই বার্তা দেখতে গেলে সারা বিশ্বের নারীসমাজের কাছেই বিশেষ বার্তাবহ বলে মনে করছেন বৃহত্তর নারীসমাজ।

এটা অবশ্য একদিনে হয়নি, হঠাৎ করেও হয়নি। ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দেওয়ার দাবি উঠছিল। সেই ১৯৭৪ সালে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নও হয়েছে। তবে ডানপন্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বহু সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৮৫ শতাংশ মানুষ বিষয়টিকে সমর্থন করছেন। অবশেষ গতকাল, সোমবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে মহিলাদের গর্ভপাতের বিষয়ে যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

(Feed Source: zeenews.com)