TMC Brigade 2024: জোড়া বিশ্বকাপ জয়ীর সঙ্গেই মহাতারকা ফুটবলার! চব্বিশের যুদ্ধে আগুনে স্কোয়াড মমতার!

TMC Brigade 2024: জোড়া বিশ্বকাপ জয়ীর সঙ্গেই মহাতারকা ফুটবলার! চব্বিশের যুদ্ধে আগুনে স্কোয়াড মমতার!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Polls) আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভার (Jana Garjan Sabha) দিকেই ছিল সকলের নজর। রবিবাবের বারবেলায় মেগা ইভেন্টে চমকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। চব্বিশের মহাযুদ্ধের ৪২ সদস্যের দুরন্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলেন মমতা। জোড়া বিশ্বকাপ জয়ীর সঙ্গেই মহাতারকা ফুটবলারকে নিয়ে চমকে দিল টিএমসি (TMC)! ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে ৪২ আসনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল, সেখানে দু’টি নাম আলাদা করে নজর কেড়ে নিল। দু’জনেই দেশকে দিয়েছেন বিশ্বকাপ। তাঁদের ক্রিকেটের ময়দানে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। বহরমপুরের প্রার্থী হলেন ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)।  বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। হাওড়া থেকে তৃণমূলের বাজি প্রাক্তন মহাতারকা ফুটবলার ও সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)!

৪১ বছরের ইউসুফ পরিচিত তাঁর ঝোড়ো ব্য়াটিং ও প্রয়োজনে অফ-স্পিনে উইকেট তুলে নেওয়ার জন্য়। দেশের জার্সিতে ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্য়াট মিলিয়ে করেছেন হাজারের উপর রান। এমএস ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সঙ্গে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপও জিতেছেন ইউসুফ পাঠানের দাদা। ২০১১-২০১৭ পর্যন্ত আইপিএল খেলেছেন কলকাতার দল কেকেআরের হয়েই। শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দিয়েছেন জোড়া আইপিএল। ইউসুফ এই প্রথম রাজনীতির আঙিনায় পা রাখলেন। টিএমসি-র হয়েই শুরু হচ্ছে তাঁর কেরিয়ারের নতুন ইনিংস।

৬৫ বছরের কীর্তি তিরাশির বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য়। তবে ইউসুফের মতো তাঁর রাজনীতিতে প্রথমবার পদার্পণ নয়। কীর্তির রক্তেই রাজনীতি। তাঁর বাবা ভগবত ঝা আজাদ ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী। কীর্তির রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিজেপিতে হয়। তিনি কংগ্রেসও করেছেন। এখন তিনি তৃণমূলের। এদিন ব্রিগেডে কীর্তি বলেছেন তিরাশির বিশ্বকাপের দল ছিল অখণ্ড ভারত। যেখানে সব ধর্মের ক্রিকেটাররা খেলেছেন। তাঁর মতে এখন ধর্মের নামে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের লড়াই বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে থাকার সময় কীর্তি দেখেছেন ৪৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি। সেসময়ে দায়িত্বে ছিলেন অরুণ জেটলি। এই প্রসঙ্গে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন মোদী তাঁকে অমিত শাহের কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই তিনি বাধ্য় হয়ে মমতার আশ্রয়ে এসেছেন।

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাঁ-পায়ের জাদুতে সবাই মোহিত হতেন একসময়ে। মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ দেশের হয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। মাঠের খেলা ছাড়ার তিন দশক পর রাজনীতির আঙিনায় এসেছিলেন প্রসূন। হাওড়া কেন্দ্রে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। প্রসূন রাজনীতিবিদ হিসেবেও মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এবার সেই প্রসূনেই আস্থা দলের।

(Feed Source: zeenews.com)