টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শুরুটা অনবদ্যভাবে করে। দিল্লির দুই ওপেনার মেগ ল্যানিং এবং শেফালি বর্মা খারাপ বল পেলে তা বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৩ রান বোর্ডে তুলে ফেলে দিল্লি। তবে পাওয়ার প্লে শেষেই আশা শোভানা ২৩ রানে শেফালিকে আউট করে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন। ঠিক পরের ওভারেই মেগ ল্যানিংও শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের বলে ২৯ রানে আউট হন।
পরপর দুই ওপেনারকে হারানোর পর দিল্লির ইনিংস সামলান জেমাইমা রডরিগেজ এবং অ্যালিস ক্যাপসি। দুইজনে মিলে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। জেমাইমা ১৪তম ওভারে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তবে দিল্লি ১৫০ রানের গণ্ডি পার করার পরেই শ্রেয়াঙ্কার বলে ৫৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। মারিজানা ক্যাপ ব্যাটে নেমেই ছয় হাঁকিয়ে নিজের ইনিংস শুরু করেন। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে অর্ধশতরানের দোরগাড়ায় ক্যাপসিকে আউট করার পর জেস জনাসনকেও ফেরান শ্রেয়াঙ্কা। ইনিংসে ২৬ রান খরচ করে মোট চার উইকেট নেন শ্রেয়াঙ্কা। দিল্লির ইনিংস শেষ হয় পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রানে।
জবাবে আরসিবি শুরুটা একেবারেই ভাল করেনি। অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা দ্বিতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত পাঁচ রানে আউট হন। সোফি মলিনিউয়ের সঙ্গে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন এলিস পেরি। দুইজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রান যোগ করেন। পেরিকে দুরন্ত ছন্দে দেখায়। তবে ৪৯ রানে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে শেষ হয় তাঁর ইনিংস। পরের ওভারেই মলিনিউও ৩৩ রানে ফেরেন। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ফেললেও রিচা আরসিবি ইনিংসের রান রেট কমতে দেননি। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন রিচা।
সোফি এবং রিচা অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। সোফি ২৬ রান করেন। জর্জিয়া ওয়েরহ্যামও ছয় বলে ১২ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে আরসিবির জয়ের জন্য ১৭ রানের প্রয়োজন ছিল। রিচা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে আরসিবিকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। শেষ বলে বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজির জয়ের জন্য দুই রানের প্রয়োজন ছিল। তবে রিচা রান আউট হওয়ায় এক রানে ম্যাচ হারতে হয় বেঙ্গালুরুকে। এই ম্যাচ জিতে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল দিল্লি। অপরদিকে, হেরে ঝুলে রইল আরসিবির ভাগ্য।
(Feed Source: abplive.com)