
রবিবার ডার্বি হারার ফলে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের রাস্তা খুবই কঠিন হয়ে গিয়েছে। খাতায় কলমে তাদের প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও, সেই পথ একেবারেই সোজা নয়। সেখানে বাকি সব ম্যাচে জিতলেই শুধু হবে না, অন্যান্য দলগুলির ম্যাচেও একাধিক অঘটন ঘটতে হবে। যেটা খুবই চাপের।
১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আইএসএল পয়েন্ট টেবলের দশ নম্বরে রয়েছে। এই জায়গা থেকে প্লে-অফে ওঠাটা বেশ কঠিন। তবে এখনও ক্ষীণ আশা রয়েছে। তবে সেই জটিল অঙ্কের হিসেব মেলানো কার্যত অসম্ভব। কী সেই অঙ্ক?
কলকাতা ডার্বিতে পরাজয়ের পর লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্লে অফে যোগ্যতা অর্জনের আশাতে বড় ধাক্কা লেগেছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বাকি সব ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলকে জিততেই হবে এবং অন্য দলের পয়েন্ট নষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। বেঙ্গালুরু এফসি-কে আরও তিন পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে। পঞ্জাব এফসি সোমবার এফসি গোয়ার সঙ্গে ড্র করায়, কিছুটা সুবিধে পেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ম্যাচও হারতে হবে পঞ্জাবকে। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে আরও পাঁচ পয়েন্ট খোয়াতে হবে। চেন্নাইয়িন এফসি এবং জামশেদপুর এফসি-কে তিন পয়েন্ট করে নষ্ট করতে হবে। আইএসএলের নকআউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে হায়দরাবাদ এফসি বাদ দিয়ে বাকি সব দলেরই। এর মধ্যে কারও অঙ্ক জটিল, কারও সহজ।
এর থেকে মোহনবাগান এসজি-র লিগ শিল্ড জয়ের অঙ্কটা জলের মতোই সহজ। প্রসঙ্গত, সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ইতিমধ্যে প্লে-অফে উঠে পড়েছে। তাদের লক্ষ্য এখন লিগ শিল্ড জয়। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বাকি পাঁচ ম্যাচে জিতলে ৫১ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। এই সংখ্যায় পৌঁছানো বাকি কোনও দলের পক্ষে আর সম্ভব নয়। তাই বাগান যদি পরের সব ম্যাচ জেতে, তবে তারা সহজেই লিগ শিল্ড পকেটে পুড়ে ফেলবে। আর যদি তারা তাদের বাকি পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জেতে এবং মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করে, তবেও লিগ শিল্ড জিতবে বাগানই। এছাড়াও মুম্বইকে দুই গোলের ব্যবধানে হারালে এবং বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিততে পারলেই, লিগ শিল্ডের শিরোপা পাবে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল।
স্বাভাবিক ভাবেই বাগান এখন তাই ফুরফুরে মেজাজে। আর কলকাতার আর এক প্রধান ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে একটি সুতোয়। একটু টান লাগলেই ছিঁড়ে যাবে।
(Feed Source: hindustantimes.com)