হুগলি থেকে ভোটে লড়ছেন, এক্কেবারেই খুশি নয় ছেলে প্রণীল! কী বলছেন রচনা?

হুগলি থেকে ভোটে লড়ছেন, এক্কেবারেই খুশি নয় ছেলে প্রণীল! কী বলছেন রচনা?

‘দিদি নম্বর ১’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে দাঁড়াচ্ছেন, এখবর তো পুরনো।  হুগলি থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়বেন তিনি। অভিনয়, সঞ্চালনা থেকে রাজনীতিতে, এমন পরিস্থিতিতে কেমন অনুভূতি হচ্ছে? মায়ের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে ছেলেরই বা কী অভিমত? এবিষয়েই মুখ খুলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যসময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ভালোলাগার কথাই জানিয়েছেন রচনা। অকপটে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে তিনি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। জানিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য়ই রাজনীতিতে এসেছেন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানানোটাও কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি।

তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আদৌ নির্বাচনে লড়বেন কিনা, এই সিদ্ধান্তটা নিতে তাঁর বেশ দেরিই হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘গত ১ মাস ধরে এটা নিয়ে আলোচনা চলছিল। আমি দিদিকে অনেক হয়রান করেছি, একবার হ্যাঁ বলেছি, একবার না বলেছি। কনফিউসড ছিলাম, কারণ আমার ছেলে টুয়েলভে পড়ছে। ওকে সময় দিতে পারব কিনা সেটা ভয় ছিল, তবে দিদির কথায় জাদু আছে।’

তবে মায়ের ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে ছেলে প্রণীল কি খুশি? একথায় রচনা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয়, প্রণীল রচনাকে বলেছে, ‘মা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?’ রচনা তাঁকে জানিয়েছেন, ‘এবার থেকে হুগলিতে থাকতে হবে, তবে তোমার পাশে আমায় সবসময় পাবে।’ রচনার কথায়, তাঁর ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকের পর বাইরে পড়তে চলে যাবে, এই সময়টা বাইরে ওর নিজস্ব দুনিয়া তৈরি হবে। সেই সময় আবার তিনি এই সুযোগটা পাব না, তাই তাঁর এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার কথা মনে হয়েছে।

অনেক অভিনেত্রীই জিতে যাওয়ার পর রাজনীতিতে ফাঁকি দিয়েছেন, এই কথা প্রসঙ্গে রচনার অভিমত ইয়ং বয়সে রাজনীতিতে এলে এই সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, ৩০ বছর বয়সে অনেক কিছুই এক্সপ্লোর করার থাকেন, তাই তাতে তিনি দোষ দেখেন না। রাজনৈতিক পদে থাকলে সেই বিষয়টা ব্যলেন্স করা মুশকিল। রচনার কথায়, রাজনীতিকে যিনি প্রায়োরিটি করবেন তিনি অনেক কিছুই ছাড়তে পারবেন। তিনি ১০০ শতাংশ চেষ্টা করবেন বলেই জানান।

রচনা যেহেতু হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়বেন, তাই সিঙ্গুর থেকে সন্দেশখালি, অনেক ইস্যুতেই তাঁরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে, এই প্রশ্নে রচনার সাফ কথা, এটা তো হবেই, এটাই তো লড়াই। তবে তিনি শালীনতা মেনেই রাজনীতির লড়াইয়ে বিশ্বাসী। গালাগালি করা, নোংরামি করা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ, একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন রচনা। তবে ভোটে জিতলে মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে চান,সেকথাও জানান রচনা। তবে যদি হারেন? রচনার সাফ কথা, হারলেও সমস্যা নেই, শ্যুটিং সংসার সবই তাঁর রয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)