জামাইষষ্ঠীর রিটার্ন গিফট তিলোত্তমাকে দিয়ে গেলেন কলকাতার জামাই, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ভারতের

জামাইষষ্ঠীর রিটার্ন গিফট তিলোত্তমাকে দিয়ে গেলেন কলকাতার জামাই, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ভারতের

Football

oi-Koushik Chakraborty

এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী চূড়ান্ত রাউন্ডের ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ২-০ গোলে পরাজিত করল ভারত। দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জোড়া গোল করেন সুনীল ছেত্রী। চূড়ান্ত কোয়ালিফায়ার শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে সমর্থকদের মাঠ ভরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। সমর্থকদের মাঠে আসার জন্য যেমন অনুরোধ করেছিলেন, তেমনই এ দিন হাসি মুখে ২৬ হাজার সমর্থককে মাঠ ছাড়ার রসদ উপহার দিলেন সুনীল।

ভারতীয় ফুটবলের রাজধানী সাক্ষী থাকল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের দাপুটে ফুটবলের, তারই সঙ্গে উপভোগ করল ইগর স্টিম্যাচের দলের দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। ভারতের খেলার মধ্যে এ দিন শুরু থেকেই ছিল নৈপন্যে ছোঁয়া। বল ধরা-ছাড়া বা ওয়ান টু ওয়ান-সবেতেই ছিল নিখুঁত পরিল্পনার ছাপ। শেষ দশ দিনে দলের ফাঁক ফোকরগুলো যে বেশ ভাল মতো মেরামত করতে পেরেছে স্টিম্যাচ এবং দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে ঠিক মতো, তা এই ম্যাচ থেকে পরিষ্কার।

বুধবার দর্শকপুষ্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ভারতীয় দল। কম্বোডিয়ার সঙ্গে ভারতের ফারাকটা যে শুধু ফিফার ক্রমতালিকাতেই নয়, রয়েছে খেলোয়াড়দের যোগ্যতা এবং গুণগত কৌশলে তার প্রমাণ শুরু থেকেই দিয়েছেন আনওয়ার আলি- ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজরা।

এ দিন ম্যাচের ১২ মিনিটে পেনাল্টির সৌজন্যে প্রথম গোলটি পায় ভারত। কম্বোডিয়ার এক ফুটবলার নিজেদের বক্সে লিস্টন কোলাসো’কে ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি কিকটি নেন। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধে গোল সংখ্যা আর বাড়েনি। তবে, গোটা প্রথমার্ধেই দাপট ছিল ভারতের। একাধিক বার গোল করার মতো পরিস্থিত তৈরি করেছিলেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ- রোশন সিং নাওরেমরা। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে শেষ কাজটা ঠিক মতো করতে পারছিল না ভারত।

ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচে ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে ভারতের পক্ষে খেলার ফল ২-০ করেন দলের অধিনায়ক সুনীল। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের ক্রস থেকে হেড়ে দ্বিতীয় পোস্টের কোন ঘেঁসে বল জালে জড়িয়ে দেন কলকতার জামাই। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে বেশি সময় সুনীলকে মাঠে রাখেননি স্টিম্যাচ। ৬৮ মিনিটে দলের প্রধান অস্ত্রকে তিনি তুলে নেন। পুরো ম্যাচ খেললে হয়তো এ দিন হ্যাটট্রিক করতে পারতেন সুনীল। তবে, এই ম্যাচে অত্যন্ত অফ কালার দেখিয়েছে আক্রমণে সুনীলের প্রধান সঙ্গী মনবীর সিং। মাঝমাঠে ভাল খেলতে পারেননি অনিরুদ্ধ থাপাও। এই দুই ফুটবলারকেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পরিবর্তন করে দেন স্টিম্যাচ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ভারত তৃতীয় গোলটিও পেয়ে যেতে পারত যদি সহজ সুযোগ নষ্ট না করতেন মহম্মদ আশিক কুরুনিয়ান। প্রত্যাশা মতোই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সুনীল ছেত্রী।

(Source: oneindia.com)