এ বছরের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বেশ ভাল ফর্মে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে। মাত্র সাত ম্যাচ খেললেও পরপর তিনটি অর্ধশতরানসহ ১৪৫-র অধিক স্ট্রাইরেটে তিনি মোট ২৫২ রান করেছিলেন আইপিএলে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কনওয়ের পারফরম্যান্স অসাধারণ। তবে অনেকেই জানেন না যে কনওয়ের কিন্তু আদতে জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়।
রামধনুর দেশে জন্ম এবং সেখানে বেশ কয়েকদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার পরেই কনওয়ে নিউজিল্যান্ডে এসে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাঁপাচ্ছেন। ছোট কনওয়ের প্রোটিয়াভূমে বড় হওয়ায়, তাঁর আইডলও স্বাভাবিকভাবেই এক প্রোটিয়া তারকা। সেই তারকা অন্য কেউ নন প্রাক্তন প্রোটিয়া টপ অর্ডার ব্যাটার নীল ম্যাকেঞ্জি। নিজের আইডলের সঙ্গে এক কাকতালীয় যোগেই ছোটবেলাতেই কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন কনওয়ে এবং এতদিনে সেই কথোপকথনের বিষয়ে জানালেন।
কনওয়ের বাবার দয়ায় ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। সিএসকের ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে কনওয়ে জানান, ‘আমার বাবা ফুটবল কোচ ছিলেন এবং তরুণ একটি ফুটবল দলকে কোচিংও করাতেন। সেই দলেই নীল ম্যাকেঞ্জি নামে এক খেলোয়াড় ছিলেন। দলের সম্ভবত সেরা খেলোয়াড়। ওঁ যখন প্রোটিয়া দলের হয়ে অভিষেক ঘটায়, তখন আমার বাবা ওঁকে চেনার কথা আমায় জানায়। বাবা বলেন তাঁর কাছে ম্যাকেঞ্জি নম্বরও রয়েছে এবং চাইলে তিনি তাঁকে ফোনও করতে পারেন। আমার বয়স তখন ১০, পুরো বিষয়টাই আমার কাছে দারুণ আনন্দের ছিল।’
ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে কী বিষয়ে কথা বলেছিলেন কনওয়ে? ‘আমার ওঁর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনটা মনে আছে। আমি ওকে হাই বলেই জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্রেট লি কত জোরে বল করেন। জবাবে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ও তোমার বাবার গাড়ির থেকে বেশি গতিতে বল করে। আমায় ব্রেট লির গতির বিষয়ে ও একটা ধারণা দিচ্ছিল। ভাগ্যক্রমে ১০ বছর জোহানেসবার্গে ওর সঙ্গে আমার খেলার সুযোগও হয়। যাকে আইডল মনে করি, এত কম বয়সে তাঁর সঙ্গে কথা বলা এবং পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গে খেলাটা এক দারুণ স্মৃতি।’ বলে জানান সিএসকে তারকা।
(Source: hindustantimes.com)