Sonam Wangchuk: 'আমি কিন্তু আবার বসব আন্দোলনে'! ২১ দিনের অনশন ভেঙেও হুঁশিয়ারি ওয়াংচুর…

Sonam Wangchuk: 'আমি কিন্তু আবার বসব আন্দোলনে'! ২১ দিনের অনশন ভেঙেও হুঁশিয়ারি ওয়াংচুর…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্লাইম্যাট অ্যাকটিভিস্ট সোনাম ওয়াংচুক, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার ২১ দিনের মাথায় তাঁর অনশন শেষ করেছেন। গত ৩ বছর ধরে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর থেকে সেখানে কেন্দ্রের তরফ থেকে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি ভাঙার দাবি উঠেছে। সেই কারণেই কেন্দ্রের নজর আকর্ষণের জন্য সোনাম ওয়াংচুক অনসনে বসেছিলেন।

মার্চ মাসের ৬ তারিখ থেকে অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। ২৬ মার্চ ২১ তম দিনে পা দিয়েছিল তাঁর অনশন। এই ২১ দিন তিনি শুধুমাত্র নুন এবং জল খেয়েই ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি সকলের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। বুধবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য অনশনে বসবেন লাদাখের মহিলারা, তারপর একই ভাবে এই জিনিস বজায় রাবেন লাদাখের যুবকরা, ওখানকার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা এবং সেখানকার বয়স্ক মানুষেরা। তারমধ্যে যদি সোনাম ওয়াংচুকের শরীর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে তাহলে আবার অনশনে বসবেন তিনি। মাইনাস ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও, এইভাবে অনশন রাখার জন্য সকলের কাছে এক নজির গড়েছেন তিনি। মঙ্গল বারের পোস্ট করা ভিডিয়োতে তিনি লিখেছেন আবার ফিরে আসবেন তিনি।

লাদাখিরা বিশ্বাস করেন যে তাঁদের স্বার্থ তখনই সুরক্ষিত হবে যদি তাঁদের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয় । তাঁরা সংবিধানের ২৪৪ ধারার ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে উপজাতীয় এলাকার মর্যাদাও দাবি করেছে, যা লাদাখ এবং কার্গিলে স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াংচুক বলেন, ‘আমরা মোটেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নই। আমরা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব যেন তাঁরা লাদাখের বিরুদ্ধে না হয়। আমরা শুধু আপনাদের প্রতিশ্রুতি রাখার দাবি জানাচ্ছি। এতে দোষ কি?’

ওয়াংচুক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, ‘আমি দুটি বার্তা পাঠাতে চাই – একটি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এবং দ্বিতীয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আমি একটি সাক্ষাৎকারে দেখেছি যেখানে অমিত শাহ বলেছিলেন যে তিনি জৈন নন, তিনি একজন হিন্দু বৈষ্ণব। হিন্দু বৈষ্ণবের বিভিন্ন সংজ্ঞা থাকতে পারে, কিন্তু আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই: ‘যে একজন বৈষ্ণব, অন্যের কষ্ট জানেন, অন্যের ভালো করেন, তার মনে অহংকার ঢুকতে না দিয়ে’।

(Feed Source: zeenews.com)