গত কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ। এবার ভোটের ময়দানে কঙ্গনা রানাওয়াত। মোদী ভক্ত-অভিনেত্রী হিমাচলের ভূমিকন্যা। সেই রাজ্যেরই মান্ডি থেকে ভোটে লড়বেন নায়িকা। এই খবর সামনে আসার পর কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলে কটাক্ষ করেন কং নেত্রী।
এই ঘটনায় সুপ্রিয়াকে আগেই শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার দলের তরফেও ‘শাস্তি’ পেলেন সুপ্রিয়া। উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ আসন থেকে সুপ্রিয়া শ্রীনাথকে লোকসভার টিকিট দিল না কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই লড়ে হেরে যান সুপ্রিয়া। ভোটে হারলেও দলে মজবুত ছিল সুপ্রিয়া জায়গা। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেল দেখভালের জিম্মা তাঁর কাঁধে। কিন্তু আচমকাই বিতর্কে তিনি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৪ জন প্রার্থীর অষ্টম তালিকায় ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। মহারাজগঞ্জ থেকে সুপ্রিয়া শ্রীনাথের পরিবর্তে বীরেন্দ্র চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে হাইকম্যান্ড।
সোমবার, অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর পোস্ট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিলেন সুপ্রিয়া। মান্ডির বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনাতকে উদ্দেশ্য করে লেখা অবমাননাকর পোস্টটি পরে মুছে দেন কংগ্রেস নেত্রী।
শ্রীনাথে অবশ্য দাবি করেছেন ‘অনেক লোক’-এর কাছে তার ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলির অ্যাকসেস রয়েছে। তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ সেই বিতর্কিত পোস্টটি করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি জানতে পেরেছি, আমি ওই পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি। যারা আমাকে চেনেন, তারাও খুব ভালো করেই জানেন যে আমি কখনোই কোনও নারীর প্রতি ব্যক্তিগত ও অশালীন মন্তব্য করতে পারি না।’
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শ্রীনাথের মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি এবং নির্বাচনী প্রচারের সময় রাজনৈতিক দলগুলিকে মর্যাদা বজায় রাখার পরামর্শের বিধানকে লঙ্ঘন করেছে। কমিশন এই মন্তব্যগুলিকে ‘অসম্মানজনক এবং খারাপ রুচির’ বলে মনে করেছে এবং ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকেল ৫টার মধ্যে অভিযুক্তর প্রতিক্রিয়া চেয়েছে।
সুপ্রিয়া শ্রীনাথের ওই বিতর্কিত পোস্টে কী ছিল? অভিনেত্রীকে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। সাদা রঙের বিকিনি পরা কঙ্গনার ছবি পোস্ট করে তাতে লেখা হয়, ‘মান্ডিতে কী দাম চলছে এখন একটু বলবেন?’ তাঁর পোস্টে স্পষ্টতই কঙ্গনা রানাওয়াতকে পরোক্ষে যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করা হয়।
ভোটে টিকিট না পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য অন্য সুর সুপ্রিয়ার গলায়। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, আপতত পার্টির সোশ্যাল মিডিয়া হেড হিসাবে তিনি কাজ করতে চান। তাই তিনিই দলের কাছে অনুরোধ রেখেছেন ভোটের ময়দানে তাঁকে না ঠেলতে। এমনকী তাঁর পরিবর্তে কাকে টিকিট দেওয়া উচিত, সেই সাজেশনও নাকি সুপ্রিয়াই দলকে দিয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)