Amartya Sen: 'কেন এভাবে সংবাদদুনিয়ার কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে?' প্রশ্ন তুললেন অমর্ত্য সেন…

Amartya Sen: 'কেন এভাবে সংবাদদুনিয়ার কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে?' প্রশ্ন তুললেন অমর্ত্য সেন…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন আবার প্রতিবাদের কণ্ঠ তুললেন। তিনি বললেন বিশ্ব জুড়ে খর্ব হচ্ছে স্বাধীনতা। যাকে-তাকে বিচার ছাড়াই পুরে দেওয়া হচ্ছে জেলে। এ কী চলছে এ বিশ্বের এ শিক্ষিতের দুনিয়ায়? অমর্ত্য স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, তিনি ব্রিটিশ আমলে এরকম দেখেছিলেন। ভারতে ব্রিটিশেরা যাকে-তাকে জেলে পুরে দিত। তিনি বলছেন, ‘আমি তখন তরুণ। আমি তখন আশা করতাম, যখন ভারত স্বাধীন হবে, তখন হয়তো এই অন্যায় ব্যবস্থাটার ইতি ঘটবে’! তাঁর এই কথার অর্থ হয়, তিনি হাল আমলের বিশ্বব্যবস্থা নিয়ে খুবই হতাশ। তিনি আরও বলছেন, তিনি এরপর (ভারতের স্বাধীনতালাভের পরে) যত দিন গিয়েছে, দেখেছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।

ভারতের জেলে বহু সাংবাদিক বন্দি। প্রায় জনাবারো সাংবাদিক দিল্লির জেলে বন্দি– তাঁদের কোনও বিচার হচ্ছে না। গত অক্টোবর থেকে তাঁরা বন্দি। দিল্লি পুলিস, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই– সকলে মিলে তাঁদের তদন্ত করছে। অথচ, কোনও অগ্রগতি নেই। কী কী অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে?

তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। রয়েছে সন্ত্রাসের অভিযোগ, রয়েছে সাংহাইয়ের এক মার্কিন কোম্পানির ইললিগ্যাল ফান্ড ব্যবহারের অভিযোগও। আসলে যে নিউজ পোর্টালটির সঙ্গে তাঁরা যুক্ত, সেটি ভারতের বিজেপিশাসনের সমালোচক। তাদের কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায় তাঁদের বেতনও হয়নি।

এই সমস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যবহার যে মোটেই সন্তোষজনক নয়, সেটাই বলতে চেয়েছেন অমর্ত্য সেন। তবে এই প্রতিবাদীদের ভূমিকায় তিনি একা নেই। তাঁর সঙ্গে আছেন, অমিতাভ ঘোষ, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, শেলডন পোলক, ডেভিড স্খুলমান, চার্লস টেলরের মতো অ্যাকাডেমিক।

(Feed Source: zeenews.com)