২২ দিনের ব্যবধানে যমজ সন্তানের জন্ম, কীভাবে ঘটল এই বিরল ঘটনা

২২ দিনের ব্যবধানে যমজ সন্তানের জন্ম, কীভাবে ঘটল এই বিরল ঘটনা

যমজ সন্তান, চেহারায় তারা একই রকম হলেও এদের গুণে থাকে অনেক পার্থক্য। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা চিকিৎসার ইতিহাসে বেশ বিরল। এবং সে বিষয়ে জানলে আপনি বেশ অবাকও হবেন। আসলে ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডে। এখানে একজন মহিলা ২২ দিনের ব্যবধানে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সবটা শুনলে এই বিষয়টি অপনাট বেশ বিরল মনে হতে পারে।

  • কী বলছে রিপোর্ট

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের এই গর্ভবতী মহিলার নাম কাইলি ডয়েল। কয়েক মাস আগে, ডাক্তাররা তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি যমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন। এই খবর পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন মহিলা। এরপর সমস্ত প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফলও স্বাভাবিক এসেছিল। চিকিৎসকেরা তখন জানিয়েছিলেন, দুই শিশুই পুরোপুরি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। গর্ভাবস্থার ২২ তম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি কোনও সমস্যার সম্মুখীন হননি। কিন্তু, হঠাৎ একদিন তাঁর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়েছিল। বিছানা থেকে উঠতেও পারছিলেন না। এরপর কাইলি ডয়েলকে দেরি না করে দ্রুত রয়্যাল ওল্ডহাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনিও পাঁচ দিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। পরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক উপায়ে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম নবজাতক শিশুটির ওজন ছিল মাত্র ১.১ পাউন্ড এবং সে মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল। এতে খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল কাইলির। এরপরই চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাইলির পরবর্তী সন্তানের জন্ম হবে।

এরপর কয়েক ঘন্টা পরেও যখন দ্বিতীয় শিশুর জন্ম হয়নি এবং কাইলি শরীরেও কোনও ব্যথা অনুভব করেছিলেন না। ব্যথা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রামের জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ২২ দিন আসতে না আসতেই, কাইলি আবারও তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছিলেন। এ সময় তিনি অন্য একটি হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা সবটা দেখে অবাক হয়েছিলেন যে কীভাবে যমজ সন্তানের জন্মে ২২ দিনের ব্যবধান থাকতে পারে। ডাক্তাররা এটা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কাইলি তখন চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, প্রথম সন্তানের জন্মের পর চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে যেতে বলেছিলেন। কিছু দিন পরে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসকেরা। তাই এই ২২ দিনের ব্যবধান।

  • অবিলম্বে অপারেশন প্রয়োজন

পরে কাইলি কোনও ব্যথা অনুভব না করলে চিকিৎসকরা তাঁকে অবিলম্বে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। চিকিত্সকরা বলেছিলেন যে সন্তানকে সি-সেকশনের মাধ্যমে ডেলিভারি করতে হবে না হলে কাইলিও মারা যাবে। কারণ, কেইলির প্ল্যাসেন্টা জরায়ুর ভেতরের দেওয়াল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে শিশুটির অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এরপর, অপারেশনের পর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের সময় ওই শিশুর ওজন ছিল দুই পাউন্ড এবং বর্তমানে তার বয়স দুই বছর। জন্মের পর, প্রাথমিকভাবে ওই শিশুটির হার্টে একটি ছিদ্র এবং চোখে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও, পরে এই সমস্যা পুরোপুরি সেরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)