জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: রোজায় বেজায় বিপাকে বাংলাদেশ। বাজারে গোরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা। একেবারে কালোবাজারের মতো দর। আবার মাংস যে রান্না হবে তার জন্য যে পেঁয়াজ প্রয়োজন তাও ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। এবার সেই দমবন্ধকর অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি দিল ভারতের পেঁয়াজ। ভারত থেকে আজ পেঁয়াজ ঢোকার কথা বাংলাদেশে। প্রথম দফায় আসার কথা ৬৫০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। কিন্তু সেই পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিল সরকার।
রবিবার পেঁয়াজের দাম নিয়ে তৈরি টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। দাম হবে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় দ্রুত তা ভিবিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদি ঢাকায় ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় তাহলে ৬৪টি জেলার অন্তত ৩০টিতে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসবে।
দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বেজায় চাপে সরকার। এনিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে আহসানুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ২৫ শতাংশ বাড়লেও স্থানীয় বাজারে ২-৪ শতাংশের বেশি দাম বাড়েনি। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেলের দাম ১১-১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমাদের আমদানিকারক এবং মিল মালিকদের সহযোগিতায় ১৬৩ টাকায় ১ লিটার এবং ১৪৯ টাকা খোলা বাজারে তেল বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ ভারতের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল ভারত। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে গত ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ। শনিবার ফের বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই রফতানি বন্ধ থাকবে। ভারতের ওই নিষেধাজ্ঞার জন্য এই রোজার সময় বেশ খানিকটা বিপাকে পড়ে যায় হাসিনা সরকার।
(Feed Source: zeenews.com)