বিশাখাপত্তনম: ব্যাট হাতে তিনি মাঠে নামতেই দর্শকদের চিৎকার ১২৮ ডেসিবেল ছুঁয়েছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) মাঠে নামার সময় তা বোঝা দায়। রবিবাসরীয় রাতে দর্শকদের একেবারেই হতাশ করলেন না। নিজের খেলায় ইতিহাসের পাল্টা উল্টে বরং ১৯ বছর আগের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। বিশাখাপত্তনমের মাঠে রেকর্ডও গড়লেন ধোনি।
প্রায় দু’দশক আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের এক তরুণ কিপার ব্যাটার নিজের বিধ্বংসী শতরানে পাকিস্তান বোলিংকে ছারখার করে দিয়েছিল। সেই তরুণ আজ মতান্তরে সর্বকালের সেরা কিপার-ব্যাটার। সেবার তিনে নেমেছিলেন ব্যাটে। এদিন রাতে আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন বছপ ৪২-র ধোনি। কিন্তু তিনি যে এখনও বলে বলে চার-ছক্কা হাঁকাতে এখনও সক্ষম, তার এক ঝলক দেখা গেল রবিবার। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস (DC vs CSK) ২০ রানে ম্যাচ হারলেও, ১৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলে সকলেরই মন জিতলেন ধোনি।
তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার এবং তিনটি ছক্কায়। সিএসকের প্রাক্তন অধিনায়ক এই ৩৭ রানের ইনিংসেই যুগ্ম রেকর্ড গড়লেন। আইপিএলের মেগা মঞ্চে পাঁচ হাজার রানের গণ্ডি পার করে ফেললেন ধোনি। প্রথম কিপার-ব্যাটার হিসাবে আইপিএলে এই গণ্ডি পার করলেন তিনি। পাশাপাশি সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত হাজার রানও হয়ে গেল তাঁর। এশিয়ার আর কোনও কিপার-ব্যাটারের দখলে এই কৃতিত্ব নেই। কুড়ি বিশের ফর্ম্যাটে কিপার-ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র কুইন্টন ডি কক এবং জস বাটলারই ধোনির থেকে অধিক, যথাক্রমে ৮৫৭৮ ও ৭৭২১ রান করেছেন।
এই ম্যাচেই কোহলিকেও পিছনে ফেলেন ধোনি। আইপিএলে (IPL) ভারতীয় হিসাবে ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। কোহলির থেকে এক বেশি, ২৪২টি ছক্কা মেরেছেন মাহি। তবে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রোহিত শর্মা। হিটম্যানের দখলে ২৬১টি ছয় মারার কৃতিত্ব রয়েছে। এখানেই শেষ নয় উইকেটের পিছনেও এক অনন্য নজির গড়লেন ধোনি। প্রথম কিপার-হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের পিছনে ৩০০টি সাফল্য পেলেন ধোনি। এই কৃতিত্ব বিশ্বের আর কারুর নেই। তাঁর অবসরের জল্পনার মাঝে এই রেকর্ডগুলি কিন্তু ফের একবার ‘ভিনটেজ’ ধোনিকে মনে করিয়ে দিল।
(Feed Source: abplive.com)