আমাদের চেয়ে বেঙ্গালুরু ভালো ফুটবল খেলেছে, তবে ৩ পয়েন্টই আসল- স্বস্তি কুয়াদ্রাতের

আমাদের চেয়ে বেঙ্গালুরু ভালো ফুটবল খেলেছে, তবে ৩ পয়েন্টই আসল- স্বস্তি কুয়াদ্রাতের

কার্লেস কুয়াদ্রাতের মগজাস্ত্রে পরাস্ত তাঁর প্রাক্তন দল বেঙ্গালুরু এফসি। স্কোরশিটে আবারও নিজের নাম তুললেন বেঙ্গালুুরুর আর এক প্রাক্তনী ক্লেটন সিলভা। চলতি আইএসএলে এই প্রথম বার পরপর দু’টি ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ডু অর ডাই ম্যাচ জিতে ২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের দৌড়ে প্রবল ভাবে টিকে থাকল কুয়াদ্রাতের দল। ইস্টবেঙ্গল বর্তমান ছয় নম্বরে উঠে এসেছে।

আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ের পর, রবিবার রাতে যুবভারতীতে বেঙ্গালুরুকে ২-১ হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দলের পারফরম্যান্স খুশি হতে না পারলেও, তিন পয়েন্ট আসায় স্বস্তি পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ।

ম্যাচের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছেলেরা যে পরিশ্রম করেছে এই ম্যাচে, তাতে আমি খুবই খুশি। সত্যি বলতে, খুব ভালো ফুটবল যে খেলতে পেরেছি আমরা, তা নয়। বেঙ্গালুরু এফসি আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তবে ওরা খুব একটা ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরাই তিন পয়েন্ট পেয়েছি। তাই আমি খুবই খুশি। বিশেষ করে সমর্থকদের জন্য। মরশুমের শেষ হোম ম্যাচ এভাবে জিতে শেষ করতে পারার জন্য। সারা মরশুম অনেক লড়াই করার পর শেষ পর্যন্ত সমর্থকেরা তাদের প্রিয় দলকে নিয়ে গর্ব করতে পারবে।’

ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচ পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে ছ’নম্বরে থেকে তাদের লিগ শেষ করার সম্ভাবনা থাকবে। এই দৌড়ে আপাতত তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাইয়িন এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। যারা একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে মঙ্গলবার। এই ম্যাচে যদি ড্র হয় এবং ইস্টবেঙ্গল যদি শেষ ম্যাচ জেতে, তা হলেও তাদের ওই দুই দলের শেষ ম্যাচগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের অঙ্কটা এখনও বেশ জটিল হয়ে রয়েছে। তবে এখন থেকেই কুয়াদ্রাত কিন্তু পরের মরশুমের কথা ভাবছে। এই মরশুমে প্লে-অফ এখনও তীব্র ভাবে অনিশ্চিত। তবে পরের মরশুমে তিনি আর এই অনিশ্চয়তা চান না। বরং দারুণ ভাবে তৈরি হয়ে নামতে চান। সেই কারণে তরুণদের দিকে ফোকাস করেছেন কুয়াদ্রাত।

এদিন বলছিলেন, ‘আমন আর সায়নরা এই ম্যাচে কার বিরুদ্ধে খেলছিল ভাবুন। সুনীল ছেত্রী, যে গত কুড়ি বছর ধরে দেশের সেরা লিগে খেলে এসেছে। এই ছেলেরা কলকাতা লিগে ও ডেভেলপমেন্ট লিগে খেলেছে মাত্র। হঠাৎ একদিন তাদের ২০ হাজার বা ৫০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে হচ্ছে। কোনও দিন খেলতে হয়েছে মোহনবাগান এসজি-র বিরুদ্ধে। ব্যাপারটা সোজা নয়। ওদের পেশীবহুল চেহারাও নেই। সবে তৈরি হচ্ছে। কিন্ত ওদের বিশাল কলিজা আছে। ওরা পেশাদার হতে চায়। এ ছাড়াও ওদের শক্তি আছে, গতি আছে। যতবার মাঠে নেমেছে, ততবার প্রভাব বিস্তার করেছে। সে জন্য আমি খুশি।’

সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এদের আমরা ভবিষ্যতে খেলাতে চাই। মহীতোষ (রায়) শ্যামলদেরও (বেসরা) আমি সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই ধরনের তীব্র ম্যাচে ওদের কী করে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামাব বলুন। প্রত্যেকেই যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। এ বার দেখার শেষ ম্যাচে কী হয়।’

(Feed Source: hindustantimes.com)