কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম নয়, যুবভারতীতেই খেলতে চায় মহমেডান, বলছেন দীপেন্দু বিশ্বাস

কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম নয়, যুবভারতীতেই খেলতে চায় মহমেডান, বলছেন দীপেন্দু বিশ্বাস

আইএসএলে আগামী মরসুমে খেলতে চলেছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে নামতে চলেছে সাদা কালো ব্রিগেড। আইলিগ জয়ের পর থেকেই সাদা কালো শিবিরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে আইএসএলের। এখনও দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু না হলেও স্পনসর, মাঠ ইত্যাদি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। এরই মধ্যে একটা ছোট সমস্যা দেখা দিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। তা হল ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া। আইএসএলের নিয়ম অনুযায়ি দেশের সেরা লিগে খেলতে গেলে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ে পাশ করতেই হবে। এমনিতে সব ঠিক ঠাকই আছে। ঝাঁ চকচকে তাবু ,স্পনসর, ভালো দল। কিন্তু খেলতে গেলে স্টেডিয়াম প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন সেই স্টেডিয়ামে বাকেট সিটের। কিন্তু মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ থাকলেও সেই মাঠ  অতটাও উন্নত না। আর দ্বিতীয়ত মাঠে নেই বাকেট সিটের ব্যবস্থা। ফলে মাঠ সমস্যায় পড়েছে তাঁরা।

আইএসএলে শহরের এক স্টেডিয়ামে দুটির বেশি দল হোম গ্রাউন্ড দেখাতে পারে না। সেক্ষেত্রে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের নাম উঠে আসছে। সেখানে পরিকাঠামো যথেষ্টই ভালো। যদিও ময়দানের ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের প্রথম পছন্দ  সল্টলেক স্টেডিয়ামই। কারণ আইএসএলে সল্টলেকে খেলা হলে, এত বড় মাঠও সহজে ভরে যাবে। আর যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সল্টলেক স্টেডিয়ামের জুড়ি মেলা ভার। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সল্টলেকে খেললে তারাও আবেদন করবেন যুবভারতীতে ম্যাচ খেলার। এফএসডিএলের কাছে অনুরোধ করবেন সল্টলেকে যাতে ম্যাচ দেওয়া হয় তাঁদের। যদিও যুবভারতীর ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে। সুসজ্জিত ও ফিফা মানের স্টেডিয়াম হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুটি ম্যাচের মাঝে নির্দিষ্ট বিরতি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের ম্যাচের সঙ্গে সূচি মিলিয়ে মহমেডানের ম্যাচ সল্টলেকে দেওয়ার আবেদন জানানো হবে এফএসডিএলের কাছে, বলছেন সাদা কালো কর্তারা।

ক্লাব সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু বলছেন,’ ক্লাব লাইসেন্সিং কোনও বাধাই হবে না আইএসএল খেলার ক্ষেত্রে। ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা দেখে গেছেন আমাদের পরিকাঠামো। আমরাও কাজ শুরু করে দিয়েছি’ । বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে দীপক সিং বলছেন,’ সল্টলেক স্টেডিয়ামে না হলে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কথা ভেবে দেখা হবে। এখানেও আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে। ফ্লাডলাইট আছে, বাকেট সিটও আছে। মাঠও সহজেই ভরিয়ে দেবে সমর্থকরা’।

মহমেডানের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস অবশ্য আশাবাদী জট কাটবে, আর মহমেডানের সব হোম ম্যাচই পড়বে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। HT বাংলার মুখোমুখি হয়ে টিম ম্যানেজার দীপেন্দু বলছেন, ‘১৩ তারিখ খেলা আছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। ওই ম্যাচে তো এফএসডিএলের কর্তারাও আসবে। এলেই বুঝতে পারবে কোথায় খেলা দিলে এফএসডিএলের লাভ। প্রয়োজন হলে চার দিন অন্তর কলকাতার তিন প্রধানের খেলা দিক। সূচি তো এফএসডিএলের হাতে। সেরকমভাবে সূচি তৈরি করলেই তো তিনটে ক্লাব যুবভারতীতে খেলতে পারে। এত সমর্থক এফএসডিএল পাবে কোথাও? কেরল, জামশেদপুর, মুম্বই যেখানে ক্লাব খেলবে সেখানে সমর্থক পাবে, গ্যালারি উপচে পড়বে। আর যুবভারতীর অবস্থান এত ভালো জায়গায়, এখানে রোজ মাঠ ভরিয়ে দেবে সমর্থকরা। তাই এফএসডিএলকে অনুরোধ করব যাতে অন্য কোনও মাঠে খেলা না দিয়ে সল্টলেকেই আমাদের ম্যাচ দেয়’।

(Feed Source: hindustantimes.com)